স্টাফ রিপোর্টার —মো:ইমামুল হাসান আরিফ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে দ্বিতীয় দফায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রথমবার আক্রান্ত হওয়ার পর তিনি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষা পেতে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। টিকা নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা জেলায় এই প্রথম।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেন। এর কিছুদিন পরই তিনি সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হন। পরে ১৬ মার্চ নমুনা পরীক্ষার পর তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর আগেও তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। বতর্মানে ওই চিকিৎসক ঢাকার নিজ বাসায় আইসোলেশনে আছেন।
এ ব্যাপারে ডা. সাইফুল ইসলাম ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর শরীরের অবস্থা এখন ভালো। গত বছরের আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে তিনি প্রথমবার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তখন তিনি ১৪ দিন আইসোলেশনে ছিলেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অভিজিৎ রায় বলেন, নাসিরনগরে একজন চিকিৎসক প্রথম ডোজ নেওয়ার পর করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বলেন, টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ না করা পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ তার শরীরে এখনও ইমিউনিটি দুর্বল আছে।
তিনি আরও বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম টিকা নেয়ার পরও করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, করোনায় দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ১৫ দিন পর থেকে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার সৃষ্টি হয়। তিনি সবাইকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।