নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাতীয় হৃদরােগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার বাহার উদ্দিনের বিরুদ্ধে একই হাসপাতালের করোনা-১ ইউনিটের নার্সিং ইনচার্জ মোছাঃ মমতাজ বেগমকে জীবন নাশের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ উঠেছে। আজ ভুক্তভোগী নার্স হাসপাতালের পরিচালক বরাবর সুষ্ঠু বিচার চেয়ে একটি অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নার্স অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন ওয়ার্ড মাস্টার বাহার উদ্দিন তাকে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে বের করে দেওয়া হুমকি এবং সাংবাদিক ডেকে
সংবাদ সম্মেলন করে ব্যবস্থা গ্রহন করার হুমকি দিয়েছেন।
ভুক্তভোগী নার্স বলেন, গত ০৪/০৭/২০২১ খ্রিঃ তারিখ সকাল ০৯.৫৬ মিনিটে ওয়ার্ড মাস্টার বাহার উদ্দিন তার (০১৭১১৫৭১১৯৩) মােবাইল নম্বর থেকে ফোন করে অশ্লিল ভাষা (যা ভাষায় উল্লেখ করা সম্ভব নয়) কথা বলে, বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন এবং সাংবাদিক ডেকে সংবাদ সম্মেলন করে ব্যবস্থা গ্রহন
করার হুমকি দেন এবং ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাহার উদ্দিন এর একজন পরিচিত রােগী গত ১৫ দিন যাবৎ কোভিড ওয়ার্ড-১ (আইসিইউ-৮) এ চিকিৎসাধীন আছেন। সেই রােগীর সাথে ৫-৬ জন দর্শনার্থী সব সময় থাকে এবং ওয়ার্ড মাস্টার বাহার উদ্দিনের ক্ষমতা দেখায় এবং ওয়ার্ডে কর্মরত নার্সদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। গত ০৩/০৭/২০২১ খ্রিঃ রাতে উক্ত রােগীটি খারাপ হলে কর্তব্যরত নার্স ডাক্তারকে ডাকেন এবং ডাক্তার আসার আগ পর্যন্ত জরুরী সেবা প্রদান করেন। কিছুক্ষণের মধ্যে ডাক্তার উপস্থিত হয়ে প্রয়ােজনীয় চিকিৎসা দেন এবং নার্স তা প্রত্যাগ করলে রাত ০৪ ঘটিকার দিকে রােগীর স্বাস্থ্যের কিছুটা উন্নতি হয়। সেই সময় ওয়ার্ড মাস্টার বাহার উদ্দিন উক্ত রােগীর পাশে উপস্থিত ছিলেন।
একই দিন বেলা ১২ ঘটিকার দিকে সিনিয়র স্টাফ নার্স হাসিনা খাতুন, ইনচার্জ, ওয়ার্ড-১২ এবং সিনিয়র স্টাফ নার্স হােসনে আরার সামনে (৩য় তলা) জেনারেল ষ্টোর রুমে নার্সদেরকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বিভিন্ন রকম আপত্তিকর (যা ভাষায় উল্লেখ করা সম্ভব নয়) কথা বলে অপমান করেন। শুধু তাই নয় অন্যান্য ওয়ার্ডে গিয়েও ওয়ার্ড মাস্টার বাহার উদ্দিন নার্সদের সাথে একই আচরন করেন। যা সরকারী কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-২০১৮ এর পরিপন্থি।
আরও উল্লেখ্য যে, বাহার উদ্দিন ওয়ার্ড মাস্টার হয়ে তার উর্দ্ধতন কর্মকর্তার (নার্স ইনচার্জ) এর কাছে জবাবদিহী চান যে, সকালে এত বেশি নার্স কেন? বিকালে এতবেশি নার্স কেন? রাতে এত কম নার্স কেন ডিউটি করে? যা তার এখতিয়ার বৰ্হিভূত ও আচরণ বিধির লঘন । উপরােন্ত অনেক ওয়ার্ডে বিকালে ও রাত্রিকালীন ডিউটিতে ওয়ার্ডবয় থাকেন না। কোন রােগী খারাপ হলে সিকিউরিটি গার্ডের লােকজন রােগীকে সিসিইউ-তে নিয়ে যান অথচ তিনি সেটা দেখেন না।
ভুক্তভোগী নার্স বিষয়টি বিবেচনা করে ওয়ার্ড মাস্টার বাহার উদ্দিন এর সুষ্ঠ বিচার ও প্রয়ােজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য হাসপাতালের পরিচালক বরাবর আবেদন জানান।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন নার্স জানান, ভুক্তভোগী নার্সের অভিযোগের পরে হাসপাতাল কতৃপক্ষ বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন।