👤স্টাফ রিপোর্টার:সৈকত চন্দ্র দাস,ঢাকা⏱️তারিখ:১৮-০৯-২০২০
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল ভবনের সিঁড়ি দুটি অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। সিঁড়ি দুটি এখন স্টোররুমের মতো ব্যবহার করছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ মানুষের চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে।
অপরদিকে স্টোর ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার আসবাবপত্রও নষ্ট হচ্ছে। স্টোররুমের অভাবে বা গোডাউন না থাকায় হাসপাতালে ব্যবহারযোগ্য ও অব্যবহারযোগ্য আসবাবপত্র যেমন বিছানা, চেয়ার, টেবিল, বেড শিট, বালিশ ইত্যাদি যেখানে-সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের মূল দুটি সিঁড়িতে এসব ফেলে রাখার কারণে দুটি সিঁড়িই এখন ব্যবহার অযোগ্য। রোগীদের সঙ্গে আসা তাদের আত্মীয় স্বজনরা এই দুটি সিঁড়ির একটিও ব্যবহার করতে পারছেন না। আর তাই তাদেরকেও রোগী ওঠানো-নামানোর জন্য রাখা সমতল সিঁড়িটিই ব্যবহার করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, সিঁড়িতে ফেলা রাখা এসমস্ত আসবাবপত্র একেবারেই ব্যবহার অযোগ্য। এসব সরঞ্জাম আলাদা করে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা যেতে পারে। কিন্তু দীর্ঘদিন নিলাম না হওয়ায় এসমস্ত আসবাবপত্র রাখার জায়গার সংকটে পড়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বিশেষ করে হাসপাতালের প্রবেশদ্বারের পূর্বপাশের সিঁড়িটি বন্ধ থাকার কারণে বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়-স্বজনদের। কারণ জরুরি প্রয়োজনে ওষুধ নিতে নিচে নামতে হলে তাদেরকে রোগীদের ব্যবহারের সমতল সিঁড়ি ব্যবহার করতে হয়। এজন্য রোগী ওঠানোর সমতল সিঁড়িটি সবসময় ব্যস্ত ও জনাকীর্ণ থাকে। আর এতে করে অনেক সময় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের ওয়ার্ডে ওঠাতে গিয়েও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ নিয়ে হাসপাতালে আসা সাধারণ মানুষের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এ বিষয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিব-উল-করিম জানান, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালটি মাত্র দুই থেকে আড়াই একর জায়গায় নির্মিত। যেখানে উপজেলার হাসপাতালগুলো পাঁচ থেকে ছয় একর জায়গায় নির্মাণ হয়েছে। গোডাউন নির্মাণে যে পরিমাণ জায়গার প্রয়োজন এখানে ঠিক সেই পরিমাণ জায়গা নেই। তাই আমাদেরকে গোডাউন তৈরি করতে বলা হলেও আমরা জায়গা সংকটের কারণে পারছি না। আর নিলাম প্রক্রিয়াটিতে কিছু সময় লাগে। আমরা নিলামের জন্য আবেদন করেছি। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এ সমস্ত অপ্রয়োজনীয় আসবাবপত্র নিলাম করতে সক্ষম হব।