বাংলাদেশ কারিগরি বোর্ডের অধীনে প্যাশেন্ট কেয়ার টেকনোলজিস্টদের নার্স হিসেবে নিবন্ধন না দেওয়াসহ তিন দফা দাবি জানিয়েছে ‘বাংলাদেশ ডিপ্লোমা বেকার নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন’ ও নার্স ও মিডওয়াইফস সম্মিলিত পরিষদ। শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা এ দাবি জানান।
তাদের অন্য দাবিগুলো হলো—পরিবারকল্যাণ পরিদর্শিকদের ‘ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি’ সমমান না করা এবং গত ৫ ফেব্রুয়ারি ব্যাচেলর অব নার্সিং সায়েন্স, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি ও ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারির ছাত্র-ছাত্রীদের নির্ধারিত কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্সিং পরীক্ষার স্থগিতাদেশ অবিলম্বে প্রত্যাহার করে কারিগরিমুক্ত কম্প্রিহেনসিভ লাইসেন্সিং পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।
সমাবেশে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ বলেন, ‘জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি স্বতন্ত্র পেশা হিসেবে বেঙ্গল নার্সিং কাউন্সিল এক্ট-১৯৩৪, পাকিস্তান নার্সিং কাউন্সিল এক্ট-১৯৫২, বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিল অর্ডিন্যান্স-১৯৮৩ ও বর্তমানে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল আইন-২০১৬ এর মাধ্যমে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রণীত আইন অনুসরণপূর্বক সব শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন, ছাত্র-ছাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম, নার্স প্র্যাকটিশনার নিবন্ধন ও সনদ প্রদান কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও কারিগরি শিক্ষাবোর্ড বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে চতুরতার মাধ্যমে নার্সিং শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছিল। যা একদিকে যেমন দেশের জনগণকে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে, তেমনি নার্সিং শিক্ষা ও সার্ভিসের মান বিনষ্টের কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টিগোচর হলে কারিগরি শিক্ষা বোর্ড পরিচালিত প্যাশেন্ট কেয়ার টেকনোলজি কোর্সটি বন্ধ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু এসব অবৈধ ও মানহীন কোর্স বন্ধ করতে শুরু থেকেই বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় বাংলাদেশ নার্সিং কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সতর্ক বার্তা দেওয়া হলেও তাদের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল থেকে নার্স হিসাবে পেশাগত লাইসেন্সের দাবি করা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’