শনিবার, ২৩ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪০ অপরাহ্ন

যা জানলে লেবুর খোসা আর ফেলবেন না …

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৩৪৯ Time View

 

📝স্টাফ রিপোর্টার : আদনান ফারাবী সুমন
🗒১৯/০৯/২০২০

বেশ কিছু গবেষণার দেখা গেছে, লেবুতে যে পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে, তার থেকে প্রায় ৫-১০ গুণ বেশি ভিটামিন রয়েছে লেবুর খোসায়। সেই সঙ্গে আরো রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, ফলেট, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাশিয়াম, যা আমাদের শরীরের জন্য বহু উপকারী। এই স্বাস্থ্য উপকারিতাগুলো হল –

১। হার্টের উপকারঃ
লেবুর খোসা খাওয়া হার্টের জন্য ভালো। লেবুর খোসা বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাকে কমায়। এর মধ্যে পটাশিয়াম থাকার কারণে রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে।

২। রোগ প্রতিরোধের উন্নতিঃ
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, লেবুতে উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার এবং ভিটামিন সি শরীরে প্রবেশ করলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে ছোট-বড় কোনো রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। সেই সঙ্গে সংক্রমণের মতো রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।

৩। রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিঃ
লেবুর খোসায় থাকা ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। ঠান্ডা, ফ্লু এবং গলার ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে।

৪। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরঃ
লেবুর খোসায় উপস্থিত ডায়াটারি ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রকোপ কমায় সেইসঙ্গে আলসার এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো সমস্যাও কমে যায়।

৫। হজমে সহোযোগিতাঃ
লেবুর খোসার মধ্যে উপস্থিত ফাইবার বা আঁশ অন্ত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং বাউয়েল মুভমেন্ট ভালো করে। এটি হজমে সাহায্য করে এবং পেট ফোলাভাব রোধেও সহায়তা করে।

৬। ক্যানসারের যমঃ
লেবুর খোসায় উপস্থিত সালভেসস্ট্রল কিউ ৪০ এবং লিমোনি নামে দুটি উপাদান ক্যানসার সেলের ধ্বংসে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে নিয়মিত লেবুর খোসা খেলে শরীরের অন্দরে ক্যানসার সেলের জন্ম নেয়ার সম্ভাবনাই অনেক কমে যায়। এখানেই শেষ নয়, লেবুর খোসা খাওয়ার ফলে ব্যাকটেরিয়াল এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশেনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৭। মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটেঃ ভিটামিন সি-এর ঘাটতি হলে মুখ গহ্বর সংক্রান্ত একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। তাই তো নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ এতে উপস্থিত ভিটামিন সি এবং সাইট্রিক অ্যাসিড মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, জিঞ্জিভাইটিস সহ একাধিক রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮। দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসেঃ পেকটিন নামে একটি উপাদান প্রচুর মাত্রায় থাকায় লেবুর খোসা নিয়মিত খেলে ওজন কমার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হয়। কারণ এই উপাদানটি শরীরে উপস্থিত অতিরিক্ত চর্বিকে ঝড়িয়ে ফেলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

৯। লিভারে ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়ঃ
নিয়মিত লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পরিমাণ বেড়ে যায় ফলে লিভারের ভিতরে জমে থাকা টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে শরীরে এই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গটির কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না।

১০। হাড় শক্তপোক্ত হয়ে ওঠেঃ
প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং ক্যালসিয়াম থাকার কারণে লেবুর খোসা খাওয়া শুরু করলে ধীরে ধীরে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ইনফ্লেমেটরি পলিআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস এবং রিউমাটয়েড আথ্রাইটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

১১। ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়ঃ
একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে, লেবুর খোসার ভিতরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের নিচে জমে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের বয়স কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বলিরেখা যেমন কমে, তেমনি ত্বক টানটান হয়ে ওঠে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102