রিপোর্টার: সুরাইয়া খাতুন, বিডিনার্সিং২৪.কম
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির সঙ্গে বাড়ছে আইসিইউ সংকট৷ ঢাকার সরকারি কোভিড হাসপাতালগুলোতে করোনা রোগীদের জন্য কোনো আইসিইউ বেড খালি নেই৷
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী রেজিষ্ট্রার ডা. মোক্তাদির ভুঁইয়া বলেন, এবার সিরিয়াস রোগীর সংখ্যা বেশি৷ আর রোগীও প্রতিদিনই বাড়ছে৷ আইসিইউ সাপোর্ট আগের চেয়ে বেশি লাগছে৷ কিন্তু আইসিইউ বেড বাড়েনি। করোনার জন্য চাইলেই আইসিইউ বেড রাতারাতি বাড়ানো সম্ভব নয়। কিছু বেড কমিয়ে সাধারণ বেডে রুপান্তর করা হয়েছে। তবে সরকার চাইলে বাড়ানো সম্ভব। গত বছর আইসিইউ বেড বাড়ানোর কথা বলা হলেও বাস্তবে তা বাড়েনি।
এদিকে জানুয়ারির পর ধীরে ধীরে আইসিইউ বেডের সংখ্যা কমানো হয়েছে৷ জানুয়ারিতে সারাদেশে করোনার জন্য আইসিইউ বেডের সংখ্যা ছিলো ৬৮৮টি৷ আর এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৪৯টি৷ কিন্তু এখন আইসিইউর চাহিদা বেশি৷
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেনিন চৌধুরী বলেন, এবার করোনা সংক্রমণের তীব্রতা আগের চেয়ে বেশি৷ অধিকাংশ রোগীর অক্সিজেন লাগছে৷ আর আগে প্রতি ১০ জনে একজনের আইসিইউ লাগত, এখন লাগছে তিন জনের৷ তিনি বলেন, ইউকে ভেরিয়েন্ট এবং আফ্রিকান স্ট্রেইনের জন্য এই পরিস্থিতি হতে পারে। আর এবার বয়স্কদের সাথে তরুণেরাও আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা৷ তিনি বলেন, ‘‘কেউ কেউ মনে করেছেন করোনা আর আসবে না তাই কোভিড আইসিইউর সংখ্যাও কমিয়ে ফেলা হয়েছে৷ আর করোনাকে আমরা সবাই মিলে অবহেলা করেছি৷ টিকা দেয়ার ক্ষেত্রেও পরিকল্পনা যথাযথ হয়নি৷’’
ঢাকা মেডিকেলের পরিচালক কর্নেল মো. নাজমুল হক জানান, ‘‘করোনা রোগী প্রতিদিনই বাড়ছে৷ হাই ফ্লো জোন এবং হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা দিয়ে আমরা রোগীদের সুস্থ করার চেষ্টা করছি৷ তারপরও সম্ভব না হলে আমরা রোগী আইসিইউতে পাঠাই৷ চেষ্টা করছি আইসিইউর ওপর চাপ কমাতে৷’’
তিনি বলেন, শুরু থেকেই ঢাকা মেডিকেলে গুরুতর করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে৷ তাই এখন যা পরিস্থিতি তা তারা সামলাতে পারছেন আগের অভিজ্ঞতার কারণে৷