শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

করোনা পরীক্ষা কমে যাওয়ার কারণ যেভাবে ব্যাখ্যা করলেন সেব্রিনা।

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০২০
  • ৩৫২ Time View

👤স্টাফ রিপোর্টারঃ তোফায়েল আহমেদ,ঢাকা ⏰৩১ আগষ্ট ২০২০.

দেশে কভিড-১৯ পরীক্ষা পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত কিট আছে এবং এখন পরীক্ষা ব্যবস্থাপনাও আগের চেয়ে অনেক ভালো বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, পরীক্ষার সুবিধা বাড়ানোর জন্য এখন অ্যান্টিজেন পরীক্ষা চালুর ব্যাপারেও সরকার সক্রিয়ভাবে চিন্তাভাবনা করছে। ফলে পরীক্ষার সুবিধা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই।

আগের চেয়ে পরীক্ষা কমার কারণ ব্যাখ্যা করে ড. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, একটি পর্যবেক্ষণ পাওয়া গিয়েছিল কভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পর্যবেক্ষণে। ওই পর্যবেক্ষণে বলা হয়, কভিড-১৯ নিয়ে মানুষের ভেতরে ভীতি আগের চেয়ে কমেছে। একটা অংশ ভাবছে, উপসর্গ দেখা দিলে নিজেরা ঘরে বসেই চিকিৎসা নিলে সুস্থ হয়ে যেতে পারে। এর জন্য পরীক্ষার দরকার নেই। তা ছাড়া পরীক্ষায় পজিটিভ রিপোর্ট এলে বাড়িওয়ালার বাঁকা দৃষ্টি কিংবা এ জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গির এখনও অবসান হয়নি। এ কারণেও অনেকে পরীক্ষা করাতে চান না। কিন্তু পরীক্ষার জন্য সুবিধার কোনো কমতি নেই। ঢাকা এবং ঢাকার বাইরের জন্য পর্যাপ্ত কিট মজুদ আছে। এখন আগের চেয়েও সুশৃঙ্খলভাবে অনলাইনে আবেদন করে নির্দিষ্ট সময় নিয়ে পরীক্ষার সুবিধা আছে। ফলাফলও আগের চেয়ে কম সময়ে পাওয়া যাচ্ছে। এর বাইরে সরকার পরীক্ষার সুবিধা আরও বিস্তৃত করার জন্য অ্যান্টিজেন পরীক্ষার অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টিও সক্রিয়ভাবে বিবেচনা করছে।

অ্যান্টিজেন কিট অনুমোদন পেলে ঘরে বসে পরীক্ষা করা সম্ভব কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ধারণা সঠিক নয়। কারণ, যে কারও পক্ষে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যথাযথভাবে নমুনা সংগ্রহও সম্ভব নয়। সঠিকভাবে নমুনা সংগ্রহ করা না গেলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। তা ছাড়া ঘরে বসে পরীক্ষা করাও সম্ভব নয়। এ কারণে মানুষকে পরীক্ষাকেন্দ্রেই আসতে হবে। তবে অ্যান্টিজেন কিট এলে পরীক্ষার সুযোগ আরও অনেক বিস্তৃত হবে, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।

এই বিশেষজ্ঞ বলেন, পরীক্ষার চেয়েও জরুরি বিষয় হচ্ছে সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা। বিশেষ করে মাস্কের ব্যবহার করতেই হবে। মানুষের মধ্যে মাস্ক ব্যবহারে অনীহা দেখা যাচ্ছে, এটা ঝুঁকি ডেকে আনতে পারে। কারণ, যাদের উপসর্গ আছে তারা নিজেরা হোম কোয়ারেন্টাইনে গিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন। যাদের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু ভাইরাসটি শরীরে বহন করে চলছেন, তারা অজান্তেই সংক্রমণ ছড়িয়ে দিতে পারেন অনেকের মধ্যে। এ কারণেই সামাজিক দূরত্ব রক্ষা, মাস্ক ব্যবহার, বারবার হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতেই হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102