বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:৫৪ পূর্বাহ্ন

‘করোনাকালেও সুস্থ থাকুন’

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২৬৬ Time View

👤স্টাফ রিপোর্টারঃ- হাসিবুল হাসান, রামেকহা-

🕛০৩ সেপ্টেম্বর ২০২০

 

>ক্লান্ত অবস্থায় শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করুন:

বাইরে সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বাসায় ফিরে আবার ব্যায়াম করুন? আপনি কি এই ভাবছেন, যে আপনি আরও বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়বেন! কিন্তু তা না। বরং উল্টো ফলাফল পাবেন। ব্যায়াম বরং আপনাকে আরো বেশি তরতাজা করে তুলবে, মনকে প্রফুল্ল রাখাবে, এতে আপনি সারাদিনের হারিয়ে যাওয়া শক্তি ফিরে আনবে। এমনকি দূর করে দেয় খারাপ ভাবনা! বিশ্বাস যদি না হলে আজ থেকে নিজেই পরীক্ষা করে দেখতে পারেন এর বিশেষ সুফল।

>পর্যাপ্ত পরিমানে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করুন। লেবু, পেয়ারা, জাম্বুরা, আমলকী, আপেল, আঙ্গুর প্রতিদিন খান।

>হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে দিনে কয়েকবার গড়গড়া দিন। দুধ ছাড়া চা খেতে পারেন।

>কালো জিরা খেতে পারেন রুটিন করে।

>সকালের রোদে একটু সময় কাটাতে পারেন। ভিটামিন ডি দরকার আছে শরীরে।

>মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়াতে হাতে লিখুন

আমরা এখন সাধারণত লেখালেখির সব ধরণের কাজ কম্পিউটার দ্বারা করে অভ্যস্ত হয়ে থাকি। কিন্তু এক বিশেষ গবেষণায় দেখা যায় যে,সবচেয়ে কার্যকরী হয়, কোন কিছু মনে রাখতে চাইলে তা হাতে লিখে মনে রাখার চেষ্টা করা।এর মাধমে আপনার মস্তিষ্ক আরো বেশি সজাগ থাকে বলে জানা যায়। মনে করে দেখুনতো ছোটবেলায় আমরা কিন্তু এভাবেই পড়াগুলো মুখস্থ করতাম! এখন থেকেই যখন যা কিছু শিখবেন,সবসময় কম্পিউটারে টাইপ না করে মনে রাখতে চাইলে তা কাগজে কলমে লিখে দেখুন, বেশি মনে থাকবে। এটি এক দিকে যেমন আপনার হাতের লেখা ভালো হবে অন্য দিকে আপনাকে মনে রাখার বিশেষ সহয়তা করবে।

>ওজন কমাতে ডায়েট কার্বোনেটেড বেভারেজ বা মিষ্টি বিহীন পানীয় খাবেন

আপনি ওজন কামাতে ডায়েট কোকাকোলা, পেপসি বেছে নিতে পারেন।এক বিশেষ গবেষণায় দেখা গেছে যে, যারা ডায়েট সোডা পান করেন থাকেন তারা বরং আরও অনেক বেশি মাত্রায় ক্যালরি গ্রহণ করে থাকেন। আরো একটি ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাসের গবেষণায় দেখা যায় যে,যারা ডায়েট সোডা পান করে থাকেন তাদের কোমর ১০ বছরে ৭০ শতাংশ বেশি স্থূল হয় থাকে, যারা ডায়েট সোডা পান করেন না তাদের তুলনায় অনেক বেশি। তাই আপনি নিয়মিত ডায়েট কার্বোনেটেড বেভারেজ বা মিষ্টি বিহীন পানীয় পান করুন, এতে যেমন ক্লান্তি দূর হয় তেমনি আপনার বিশেষ রকমের উপকারিতা রয়েছে।

>গরমের দিনে গরম খান, ঠাণ্ডা নয়:

গ্রীষ্মের এক সকালে কী খেয়ে থাকেন আপনি, গরম না শীতল ঠাণ্ডা এক মগ কফি অথবা এক কাপ চা তাই না ? অবশ্যই ঠাণ্ডা কফি বা চা ! আপনি সাধারণ এই ধরণের ভুল করে থাকেন! আপনি জানেন কি এতে বরং ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। গবেষণায় দেখা যায় যে, গরমের সময় গরম খাবারি আপনাকে বরং ঠাণ্ডা রাখে। কারণ, গরমের দিনে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে ঘামেরে সৃষ্টি হয়, আর ঘাম হওয়া কিন্তু শরীরের জন্য বিশেষ জরুরি!

>ক্লান্তিকর সময় এনার্জি ড্রিংক্স নয়:

আপনি জানেন কি ? এনার্জি ড্রিংক্স কফির তুলনায় সাধারণত ৬ গুণ বেশি ক্যাফেইন সমৃদ্ধ একটি পানীয়। কিন্তু এনার্জি ড্রিংক্স স্বল্প সময়ে জন্য এনার্জি তৈরি করে থাকে, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য আরও বেশি ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায়। এতে উপকারের চেয়ে আপনাকে নার্ভাস করে দেয়, এতে আপনার পালস বেড়ে যায়। ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি পাওয়া গেলেও পড়ে আপনাকে আরো বেশি দুর্বল করে দেয় এবং দ্রুতই ঘুম পায়, গা ছেড়ে দিয়ে থাকে। যা শরীরের জন্য উপকারের চেয়ে ক্ষতির পরিমানই বেশি।
কম খেতে হলে প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খান:

আমরা অনেক সময় দেখা যায় যে কম কার্বোহাইড্রেট খেতে গিয়ে আমরা এতই কম খেয়ে ফেলি যে ক্ষুধা লাগে কিছুক্ষণ পরপর। আপনি ভাবছেন কী খাবেন তাহলে? বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এক্ষেত্রে আপনি প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন ধরুন বাদাম ও পনির এই জাতীয় খাবার খেতে পারেন। আপনি কিছু ভাবছেন যে এগুলোতে তো প্রচুর ফ্যাট থাকে তাই না। তবে তবে এই জাতীয় খাবার অনেক সময় ধরে আপনাকে ক্ষুধার অনুভূতি থেকে বিরত রাখবে। এতে আপনার দ্রুত ক্ষুধার অনুভূতি কাটবে এমনকি ভারী খাবার না খেয়েও অনেক সময় কাটাতে পারবেন।আপনার এক দিকে যেমন সময় বাঁচবে ও তেমনি ভারী খাবারের চাহিদা কম হবে।

>খাওয়ার পরপরই দাঁত ব্রাশ করবেন না:

আপনি সাধারণত সুস্থ্ দাঁত রাখার জন্য দাঁত ব্রাশ অবশ্যই করেন। কিন্তু আপনাকে খাওয়ার একদম পরেই যে দাঁত ব্রাশ করবেন তা নয়। আপনার বরং এতে ক্ষতি হতে পারে কারণ টুথপেস্টের মধ্যে যে রাসায়নিক থাকে তা আপনার খাদ্যের উপাদানের সাথে বিক্রিয়ায় দাঁতের ক্ষতি হয়ে থাকে। তাই আপনি রাতের খাবার খাওয়ার পর কিছু সময় অপেক্ষা করুন। এই সময়ে একটু পায়চারি করলে দোষের কিছু নেই। পায়চারি করা হলো এক ধরণের ব্যায়াম।

>মাথাব্যথা হলে প্রচুর মাছ খান। মাছের তেল মাথাব্যথা প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। খেতে পারেন আদা। প্রদাহ এবং ব্যথা নিরাময়ে তা বিশেষভাবে কার্যকর।

>জ্বর হলে খেতে পারেন ইয়োগার্ট। মধুও খেতে পারেন।

>স্ট্রোক প্রতিরোধ চা খান। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে নিয়মিত চা খেলে ধমনীর গাত্রে ফ্যাট জমতে পারে না। ফলে ঝুঁকি কমে আসে অনেকখানি।

>অনিদ্রার সমস্যায় মধু কার্যকর।

>হাঁপানিতে পেঁয়াজ খান। শ্বাসনালীর সংকোচন রোধে তা ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

>পেটের পীড়ায় খেতে পারেন কলা, আদা। আদা মর্নিং সিকনেস এবং বমি বমিভাব দূর করে।

>ঠান্ডা লাগলে রসুন খান।

>স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে গমজাত খাদ্য, বাঁধাকপি কার্যকর।

>আলসারের সমস্যায় বাঁধাকপি বিশেষভাবে উপযোগী। এতে থাকা খাদ্যোপাদান গ্যাস্ট্রিক এবং ডিওডেনাল আলসার হিল করতে সাহায্য করে।

>নানাগুণের অধিকারী মধু। অসাড়তা, গলাব্যথা, মানসিক চাপ, রক্তস্বল্পতা, অস্টিও পোরেসিস, মাইগ্রেনসহ নানা শারীরিক সমস্যায় মধু বিশেষভাবে কার্যকর।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102