শনিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১০ পূর্বাহ্ন

ঋতু পরিবর্তনে টনসিলের ব্যথায় ভুগছেন?জেনে নিন প্রতিকার।

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২০
  • ৬৮৯ Time View

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শীত পড়লেই এই সমস্যা অনেকেরই হয়। কিংবা একটু ঠান্ডা-গরম হলেই গলা ব্যথা শুরু হয়ে যায়, এরকম অনেকেই আছেন। গলা ব্যথার সঙ্গে থাকে শুকনো কাশি, ঢোক গিলতে সমস্যা হয়, নাক দিয়ে জল পড়া এসব থাকেই। এছাড়াও অনেকের গলা ভেতর থেকে চিরে গিয়ে জ্বালাও করে। ফলে কোনও খাবার খেলেই সঙ্গে সঙ্গে বমি হয়ে যায়। টনসিলের সংক্রমণ হলে খুবই কষ্ট হয়। সমস্যা হয় কথা বলতেও। যে কোনও বয়সেই হতে পারে এই সমস্যা। আমাদের জিভের পিছনে গলার দেয়ালের দু’পাশে গোলাকার পিণ্ডের মতো যে জিনিসটি দেখা যায়, সেটাই হল টনসিল। এটি দেখতে মাংসপিণ্ডের মতো মনে হলেও এটি মূলত এক ধরণের টিস্যু বা কোষ। এখানে সংক্রমণ হলেই জ্বর, গলাব্যথা, কাশি এসব থাকেই। এছাড়াও খুব সহজেই গলা শুকিয়ে যায়। মুখের লালাগ্রন্থি থেকে ঠিকঠাক ক্ষরণ হয় না। অনেক সময় চিকিৎসকরা টনসিল অপারেশনের পরামর্শ দেন। কিন্তু তাতে খুব একটা কিছু কাজ হয় না। দ্বিতীয়বারও টনসিলের সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে কিছু ঘরোয়া টোটকা মেনে চললে টনসিলের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

আদা-চা:
সর্দি-কাশিতে খুবই ভালো কাজ করে আদা। আদা জীবানুনাশক। এছাড়াও আদা গলাকে আরাম দেয়। আদার মধ্যে থাকে রোগ প্রতিরোধকারী বেশ কিছু উপাদানও। যে কারণে ঠান্ডা লাগলেই বারবার আদা চা খেতে বলা হয়। তবে দুধ চা নয়, আদা দিয়ে লিকার চা খান।

নুন জলে গার্গল:
যাঁদের টনসিলের সমস্যা রয়েছে তাঁরা সারাবছর গার্গল করতে পারলে খুবই ভালো। নইলে ঠান্ডা লেগেছে বুঝলেই নুন জলে দিনে অন্তত দুবার গার্গল করতেই হবে। এতে সংক্রমণ কমে অনেকটাই। এছাড়াও ব্যাথার উপশম হয়। নুন জীবানুনাশক, নুনের মধ্যে থাকে আয়োডিন, তাই ব্যাকটেরিয়া সহজে মরে যায়।

লেবুর রস:
এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জলে ১ চামচ লেবুর রস, ১ চামচ মধু, আধ চামচ নুন ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি যত দিন গলা ব্যথা ভাল না হয়, তত দিন পর্যন্ত খেতে থাকুন। টনসিলের সম্যসা দূর করার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকরী। এই মিশ্রণে খুশখুশে কাশিও কমবে।

পাতা চা ও মধু:
রোস্টেড চা নয়, বড় পাতা ওয়ালা চা নয়। গ্রিন টি ছাড়াও একরকম হোল লিফ টি পাওয়া যায়। অনলাইন কিংবা দোকানেই পেয়ে যাবেন। দার্জিলিং চায়ের লিকারের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে গলা ব্যথার অনেকখানি উপশম হয়। এই চা কে ওলং টি বলে। জল খুব ভালো ফুটলে চা পাতা দিন। তারপর ছেঁকে নামিয়ে মধু দিয়ে খেলেই সমস্যার সমাধান হবে। এই চায়ে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণুকে ধ্বংস করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা খেতে পারলে উপকার পাবেন।

হলুদ দুধ:
যে কোনও ইনফেকশন থেকে রেহাই মেলে হলুদ থেকেই। এছাড়াও এর মধ্যে কারকিউমিন থাকায় তা আর্থ্রাইটিসের প্রতিরোধে সাহায্য করে। এমনও হয়েছে যে তাঁদের ব্যাথার ওষুধও খেতে হয়নি। এছাড়াও হলুদ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর। ছাগলের দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে অনেক বেশি উপকার পাওয়া যায়।

তিলক বালা/বিডিনার্সিং২৪

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102