সিনিয়র রিপোর্টার-নাদিয়া রহমান,ঢাকা
তারিখ -২০.০৯.২০২০
কোভিট-১৯ মহামারীতে থমকে গিয়েছিল সারা বিশ্ব। সবার মনেই কড়া নেড়েছে ভয়। এ পরিস্থিতিতে ওষুধের পাশাপাশি বেশিরভাগ মানুষ ভরসা করেছে ঘরোয়া ভেষজ ওষুধের উপর। এ নিয়ে অবশ্য অনেক তর্ক-বির্তক হয়েছে। অবশেষে এই ঘরোয়া ভেষজের ওপর পরীক্ষা যাচাই করার উদ্যোগ নিলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এই পরীক্ষা সফল হলে ভবিষ্যতে ভেষজ ওষুধের ব্যবহার কার্যকর হতে পারে।
মাস কয়েক আগে মাদাগাস্কারের প্রেসিডেন্ট আর্টেমিসিয়া নামক একটি ভেষজ উদ্ভিদ থেকে তৈরি পানীয় করোনা সারাতে সক্ষম দাবি করার প্রেক্ষাপটে শনিবার ডব্লিওএইচও এ অনুমোদন দিল। আর্টেমিসিয়া থেকে তৈরি ওষুধ ম্যালেরিয়া চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
ডব্লিওএইচও’র বিশেষজ্ঞ এবং আরো দু’টি সংস্থার সহকর্মীগণ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ভেষজ ওষুধের তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা এবং এর পাশাপাশি পরীক্ষার জন্যে তথ্য ও সুরক্ষা নিরীক্ষণ বোর্ড প্রতিষ্ঠায় চার্টার এবং রেফারেন্সের শর্তাদির অনুমোদন দেয়।
এ সময় বলা হয়, একটি নতুন ওষুধের নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা সামগ্রিকভাবে মূল্যায়নে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ গুরুত্বপূর্ণ। এতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এবং প্রিভেনশন অ্যান্ড দ্য আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশন ফর সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স একযোগে কাজ করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক প্রম্পার টিউমাসিমি বলেন, প্রচলিত কোনো ওষুধ যদি নিরাপদ, কার্যকর ও মানসম্পন্ন বলে প্রমাণিত হয়, তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তা দ্রুত তৈরির পরামর্শ দেবে এবং স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক উৎপাদন করার জন্য বলবে।
টিউমাসিমি বলেন, ইবোলা বা করোনার মতো মহামারি এ অঞ্চলে স্বাস্থ্যব্যবস্থা শক্তিশালী করার ও উন্নয়ন কর্মসূচি ত্বরান্বিত করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে সনাতনী ওষুধ নিয়ে গবেষণার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টিও উঠে এসেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আফ্রিকা অঞ্চলের পরিচালক মাতিশিদো মোতি বলেছেন, অন্য ওষুধের যেভাবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে হয়, তেমনি সনাতনী পদ্ধতিতেও কমপক্ষে দুই হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালাতে হবে।
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা আমাদের, আর প্রশ্ন আফ্রিকান ভেষজ ওষুধ পরীক্ষার প্রোটোকল সফল হবে তো?