শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০২:০২ পূর্বাহ্ন

নার্স ও মিডওয়াইফ নিয়োগ পরীক্ষার জন্যঃ বিশ্বের ১০ টি গোয়েন্দা সংস্থার নাম

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২০ মার্চ, ২০২২
  • ৫৩১ Time View

তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে বর্তমান সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে দুর্ধর্ষ ১০ গোয়েন্দা সংস্থার এই তালিকাটি তৈরি করা হয়েছে। যা থেকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন আসতে পারে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার নাম (NSI- National Security Intelligence)

মোসাদ বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্ধর্ষ গোয়েন্দা সংস্থার নাম মোসাদ (MOSSAD)। এটি ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা, যা দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে সরাসরি পরিচালিত হয়ে থাকে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী সংস্থাটির প্রধান। পৃথিবীর সব জায়গাতে যেকোনো পরিস্থিতিতে অপারেশন চালানোর সক্ষমতা রাখে ইসরাইল সরকারের এই বিশেষ এলিট বাহিনী।

মোসাদ প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৪৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। মোসাদের এই কাজের বাজেটও কারও জানা নেই। মোসাদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী এমএসএস, এফএসবি, এমআইএসআইআরআই, হিজবুল্লাহ এবং হামাস।

ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের বিখ্যাত অপারেশনগুলো হচ্ছে- ১৯৬০ সালে আর্জেন্টিনায় আইখম্যান হান্ট, ১৯৬৫ সালে হেবাররত চুকারস হত্যা, ১৯৬৩-৬৬ সালের অপারেশন ডায়মন্ড, ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ, ১৯৯০ সালের অপারেশন জেরাল্ড বুল কিলিং, ১৯৯২ সালের আতেফ বেইসো হত্যাকাণ্ড, ২০১০ সালের মোহাম্মদ আল মাবহু হত্যাকাণ্ড।

সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি বা সিআইএ সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ এবং অন্যতম তুখোর গোয়েন্দা সংস্থা যা সিআইএ (CIA) নামে বেশি পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন একটি বেসামরিক গোয়েন্দা সংস্থা। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা, যার দায়িত্ব যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উচ্চপদস্থ নীতিনির্ধারকদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করা।

সিআইএর প্রাথমিক কাজ হচ্ছে বিদেশি সরকার, সংস্থা ও ব্যক্তিদের সম্বন্ধে তথ্য সংগ্রহ করা এবং তা জাতীয় নীতিনির্ধারকদের কাছে তা সরবরাহ ও পরামর্শ প্রদান করা। সিআইএ এবং এর দায়বদ্ধতা ২০০৪ সালে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছে।

এমআইসিক্স এমআইসিক্স ব্রিটিশ মিলিটারির ইন্টেলিজেন্স এর একটি বিশেষায়িত শাখা। সংস্থাটির অফিসিয়াল নাম সিক্রেট ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস (এসআইএস)। ১৯০৯ সালের অক্টোবরে সিক্রেট সার্ভিস ব্যুরো নামে এটি গঠিত হয়। ওই সময়ে ব্যুরো নেভাল ও আর্মি সেকশন নামে দুটি বিভাগে কাজ করত। নেভাল বিভাগের কাজ ছিল অন্য দেশে গোয়েন্দাগিরি। অন্যদিকে আর্মি বিভাগের কাজ ছিল অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাস দমন। পরে নেভাল বিভাগের নাম দেয়া হয় এমআই সিক্স আর আর্মি বিভাগের নাম দেয়া হয় এমআই ফাইভ।

এমআই সিক্সের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশে হামলা ও হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ততার। এজন্য সংস্থাটি ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, যুক্তরাষ্ট্রের সিআইএ’র সহযোগিতা নিয়েছে আবার কখনো সহযোগিতা করেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে এ তিনটি সংস্থা একসাথেই কাজ করেছে বলে জানা যায়।

এমএসএস চীনের গোয়েন্দা সংস্থা গওজিয়া অ্যাংকেন বু অথবা মিনিস্ট্রি অব স্টেট সিকিউরিটি। এটি বিশ্বজুড়ে এমএসএস (MSS) নামে পরিচিত।

চীনা এমএসএসের অনেক কিছুই সাধারণ মানুষের অজানা। আর এর কর্মী সংখ্যা পৃথিবীর সব গোয়েন্দা সংস্থার তুলনায় সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হয়।

২০০৫ সালের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, শুধু অস্ট্রেলিয়াতেই এমএসএস এর এক হাজার ইনফর্মার রয়েছে। এমএসএসের সদর দপ্তর চীনের রাজধানী বেইজিংএ অবস্থিত। এর জবাবদিহিতা স্টেট কাউন্সিল অব চায়নার কাছে। এমএসএসের সংস্থা প্রধান চেন ওয়েনকিং।

এমএসএসের অনেক নামকরা এজেন্ট রয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছেন ল্যারি উ তাইচিন, ক্যাট্রিনা লেউং, পিটার লি, চি মাক, কো সুয়েন মো। ১৯৯৬ সালে এফ-১৫, বি-৫২সহ বহু সামরিক প্রযুক্তি পাচারের অভিযোগে ডং ফ্যাং চ্যু নামে বোয়িং কোম্পানির এক ইঞ্জিনিয়ার ধরা পড়েন। পৃথিবীর অন্যসব গোয়েন্দা সংস্থাকেই এমএসএস তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করে।

এফএসবি রাশিয়া এফএসবির মূল নাম ফেডারেলনায়া সুলঝবা বেজপাসনোস্তি রাশিস্কয় ফেডেরাটসি। সংক্ষেপে এটি এফএসবি (FSB) নামে পরিচিত। এটি স্থাপিত হয় ১৯৯৫ সালের ৩ এপ্রিল। তবে এত অল্প বয়স দিয়ে এফএসবির কার্যকারিতার প্রভাব ও ভয়াবহতার কথা মোটেও অনুমান করা যাবে না। অনুমান করতে হবে এর পূর্বসূরি সংস্থার কথা মাথায় রেখে।

এফএসবির কর্মী সংখ্যা লক্ষাধিক। এফএসবির সদর দপ্তর রাশিয়ার মস্কো শহরের ল্যুবিয়াঙ্কা স্কোয়ারে। এর জবাবদিহিতা করতে হয় প্রেসিডেন্ট রাশিয়ান ফেডারেশন।

এফএসবির সংস্থা প্রধান আলেকজান্ডার বর্টনিকভ। এফএসবির সাহায্যকারী সংস্থার নাম গ্রু। এফএসবির মোট ১০টি বিভাগ রয়েছে। এফএসবির নামকরা এজেন্টের নাম আন্না চ্যাপম্যান। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এফএসবির গোয়েন্দারা যারা নিয়মিত এফএসবিকে গোপন তথ্য সরবরাহ করে যাচ্ছে। এফএসবির সর্বমোট কর্মকর্তার সংখ্যা এবং এদের জন্য বরাদ্দকৃত বাজেটের পরিমাণ এদের নিজস্ব কৌশল হিসেবে গোপন রাখা হয়।

বিজ্ঞাপন

গার্ডিয়ান পোস্ট বেসিক বিএসসি ইন নার্সিং ভর্তি গাইড

গার্ডিয়ান পোস্ট বেসিক নার্সিং ভর্তি গাইড। গার্ডিয়ান পোস্ট বেসিক মিডওয়াইফারি ভর্তি গাইড সমগ্র দেশে পাওয়া যাচ্ছে। গাইডগুলোতে বিগত সালের পোস্ট বেসিক বিএসসি ভর্তি পরীক্ষার সকল প্রশ্নের সমাধান ও ১০ টি মডেল টেস্ট সংযুক্ত করা হয়েছে। গাইডগুলো নার্সিং ও মিডওয়াইফারি শিক্ষকদের দ্বারা সম্পাদিত।

পরিবেশকঃ অনন্ত বুকস, নীলক্ষেত, ঢাকা- ১২০৫
ফোনঃ 01552709223

 

পোস্ট বেসিক মিডওয়াইফারি ভর্তি গাইড

বিএনডি জার্মানির বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থার নাম জার্মান ভাষায় বুন্দেসন্যাচরিচটেনডিয়েনস্ট বা বিএনডি (BND)। ইংরেজিতে ফেডারেল ইনটেলিজেন্স সার্ভিস। জার্মান চ্যান্সেলরের অফিস থেকে সংস্থাটি সরাসরি নিয়ন্ত্রিত হয় এবং চ্যান্সেলরের কাছে জবাবদিহি করে। এটা ইউরোপের অন্যতম শক্তিশালী গোয়েন্দা সংস্থা।

১৯৫৬ সালের ১ এপ্রিল বিএনডি প্রতিষ্ঠিত হয়। মেজর জেনারেল রেইনহার্ডরের নেতৃত্বে সংস্থাটি নির্মিত হয়েছিল। শুরুতে এটা যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর সহযোগী হিসেবে কাজ করে।

এই সংস্থাটি জার্মানিতে ও বিশ্বের যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকে। বিএনডি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস, মাদক সন্ত্রাস, প্রযুক্তির অবৈধ পাচার, অস্ত্র পাচার, সংঘবদ্ধ সন্ত্রাস সম্পর্কে গোপন তথ্য সংগ্রহ করে।

আইএসআই বিশ্বের সবচেয়ে বিতর্কিত গোয়েন্দা সংস্থার নাম পাকিস্তানের আইএসআই (ISI)। বিতর্কের দিক থেকে এই গোয়েন্দা সংস্থা বিশ্বের প্রথম। ‘সরকারের ভেতরে সরকার’ পাকিস্তানের মাটিতে এই নামে বহুল পরিচিত ও সবচেয়ে ক্ষমতাধর সংস্থাটির নাম আইএসআই।

১৯৪৮ এর মাঝামাঝি সময়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত অস্ট্রোলীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ আর্মি অফিসার ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল রবার্ট চাওথামের পরামর্শে ও তত্ত্বাবধানে আইএসআই তৈরি হয়।

প্রাথমিকভাবে এর কাজ তিন বাহিনীর প্রাপ্ত তথ্য যাচাই বাছাই করে সমন্বয় সাধন করা হলেও ১৯৫০ সাল থেকে একে আদালা করে শুধুমাত্র পাকিস্তান রাষ্ট্রের নিরাপত্তা, স্বার্থ রক্ষা ও অখণ্ডতা বজায় রাখার দায়িত্ব দেয়া হয়।

দেশে-বিদেশে সংস্থাটির সম্ভাব্য সদস্য সংখ্যা ২৫ হাজারের বেশি এবং এর মধ্যে অনেক তথ্য প্রদানকারীও রয়েছে। এই সংস্থার প্রধান কাজ পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ও অখণ্ডতা রক্ষা করা।

রিসার্চ অ্যান্ড এনালাইসিস উইং ‘ আলোচিত এই গোয়েন্দা সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাসাল ২১ সেপ্টেম্বর ১৯৬৮ সাল। নয়া দিল্লি হচ্ছে র’য়ের (RAW) কেন্দ্রবিন্দু। আনীল দশমনা এজেন্সির নির্বাহী প্রধান। র এর প্রধান এজেন্সি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। র ভারতের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা।

১৯৬৮ সালের ২১ সেপ্টেম্বর প্রাক্তন ব্রিটিশ ইন্টেলিজেন্স অফিসার ও আইবির ডেপুটি ডাইরেক্টর আর.এন.কাও র নেতৃত্বে ভারতে প্রতিষ্ঠা লাভ করে Research and Analysis Wing।

ডিজিএসই ডিজিএসই (DGSE) ফ্রান্সের বৈদেশিক গোয়েন্দা সংস্থা। প্রতিষ্ঠিত হয় ২ এপ্রিল ১৯৮২। ডিজিএসই ফ্রান্সের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে চলে।

বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক প্রভাব এবং কাউন্টার ইন্টেলিজেন্ট অপারেশনে ডিজিএসই ডিজিএসআই নামক আরেকটি সংস্থার সাথে একসাথে কাজ করে। এর প্রধান কাজ হলো বাইরের দেশের বিভিন্ন সূত্র থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং তা মিলিটারি এবং নীতিনির্ধারকদের সরবরাহ করা।

ডিজিএসইতে কাজ করেন পাঁচ হাজারের বেশি কর্মকর্তা। এর সদর দপ্তর প্যারিসে।

১০অস্ট্রেলিয়ার এএসআইএস এএসআইএস (ASIS) অস্ট্রেলিয়ার সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা যার কাজ হলো গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করা, কাউন্টাল ইন্টেলিজেন্স কার্যক্রম এবং বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সাথে সহায়তামূলক কাজ করা।

প্রতিষ্ঠিত হয় ১৩ মে 1952। প্রধান কার্যালয় ক্যানবেরাতে। বর্তমান ডিরেক্টর নিক ওয়ার্নার। এই সংস্থাটি ২০ বছর পর্যন্ত গোপন ছিল এমনকি অস্ট্রেলিয়ার সরকারও এই এজেন্সি সম্পর্কে জানতো না। এর প্রধান কাজ হলো এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকার গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102