বিডিনার্সিং২৪ রিপোর্টঃ ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলনে নেমেছে ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল থেকেই শিক্ষার্থীরা ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে মূল একাডেমিক ভবনের সামনে অধ্যক্ষ ও তার বানানো অবৈধ স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন এর কমিটি বাতিল ও তাদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের লাঞ্চিত করার বিচারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এতে উত্তাল ও থমথমে পরিস্থিতি ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজে।
গত রবিবার রাতে স্টুডেন্টস’ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর অনির্বাচিত, অবৈধ এবং মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটির সভাপতি আলামিন আকন্দ অপূর্ব এবং সাধারন সম্পাদক মোঃ সোহেল মিয়া একই কলেজের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ কে ডেকে নিয়ে বেধরক মারধর করে এবং টাকা পয়সা দাবি করে।
কিছুদিন আগেও ময়মনসিংহ নার্সিং কলেজের একজন সিনিয়র শিক্ষক কে লাঞ্চনা করে পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে অধ্যক্ষ নাজমা খাতুন এর ছত্র ছায়ায় ক্ষমা চেয়ে পার পেয়ে যায় অভিযুক্ত অপূর্ব ও সোহেল। ইতিপূর্বে বিভিন্ন সময় সাধারন শিক্ষার্থীদের ডেকে নিয়ে মারধরের অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত অপূর্ব ও সোহেলের বিরুদ্ধে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান যে, নাজমা খাতুন অধ্যক্ষ হওয়ার পর থেকে কলেজে বিশৃংখলা শুরু হয়েছে। অধ্যক্ষের ছত্রছায়ায় ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে কিছু শিক্ষার্থী। উল্লেখ্য যে, নাজমা খাতুন এর অধ্যক্ষ হওয়ার জন্য নার্সিং ও মিডওয়াইফারী নিয়োগ বিধিমালা উপেক্ষা করা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে তিনি অধ্যক্ষ নিযুক্ত হওয়ার পর নির্বাচন ছাড়াই তার একচ্ছত্র রাজনৈতিক বলয় শক্তিশালী করার জন্য কলেজের শিক্ষার্থী অপূর্ব কে সভাপতি এবং সোহেল কে সাধারন সম্পাদক করে স্টুডেন্টস’ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এর অবৈধ কমিটি অনুমতি দেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারপর থেকে তিনি ক্যাম্পাসে একের পর এক অরাজকতা ও ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ৩০২ নাম্বার রুমে অপূর্ব ও সোহেল অলিখিত টর্চার সেল তৈরী করেছেন। সেখানে শিক্ষার্থীদের নানা হুমকি, মারধোর করা সহ মানষিক নির্যাতন করা হয়। প্রিন্সিপাল তাদের এই ক্ষমতা দিয়েছেন এটা ক্যাম্পাসে ওপেন সিক্রেট সংবাদ।
আন্দোলনরতরত কয়েকশ শিক্ষার্থীদের দাবি, অপূর্ব সোহেল কে বহিষ্কার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। এজন্য নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সিদ্দিকা আক্তারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।