স্টাফ রিপোর্টার:রাবিয়া আক্তার মীম ফুলপুর,ময়মনসিংহ ⏰২৩-০৯-২০২০
বাংলাদেশ অসাম্প্রদায়িকতার দেশ। এদেশে কখনো ধর্ম-বর্ণ,জাত-পাত,উচ্চস্থানীয়-নিম্নস্থানীয় এসব নিয়ে কোনো কথা হয় না,তবে যোগ্যতা নিয়ে সব সময় কথা উঠে। তাই নার্সিং ও কারিগরির মাঝে সবসময়ই বিবাদ লেগেই থাকে।
অতীতে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেল মানুষের সেবার যে পথ দেখিয়ে গিয়েছেন তার আদর্শেই আলোকিত বর্তমানের নার্সিং শিক্ষা। মানুষের সেবা করতে গেলে সেই সম্পর্কে অঢেল জ্ঞান থাকতে হয়।বিভিন্ন মেডিকেল বই পড়ে,মেডিকেল প্র্যাকটিস করে মানুষের সেবা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয় নার্সিং শিক্ষার্থীদেরকে।
কারিগরি নার্সরা এসএসসি পাশের পর কোনো নার্সিং এর বই না পড়েই শুধুমাত্র ১বছর মেডিকেলপ্র্যাকটিস করে থাকে, অন্যদিকে নার্সিং শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পাশের পর ১ম বর্ষ থেকেই মেডিকেল প্র্যাকটিস সহ বিভিন্ন মেডিকেল বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করে।
কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে পাসকরা শিক্ষার্থী এবং নার্সিং থেকে পাসকরা শিক্ষার্থীদের মাঝে অনেক তফাত আছে তাই একই নামে নিবন্ধন সম্পূর্ণই অযৌক্তিক।
যেখানে শিক্ষাগত যোগ্যতা,রোগীর সেবা,মেডিকেল প্র্যাকটিস এ নার্সিং শিক্ষার্থীদের থেকে কারিগরির শিক্ষার্থীরা খুবই নিম্নমানের সেখানে যদি কারিগরিদের একই নামে নিবন্ধন দেওয়া হয় তাহলে নার্সিং শিক্ষা নীতিমালা বাস্তবায়নে সংকট সৃষ্টি হবে।পাশাপাশি সেবা গ্রহণে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি,সেবার মান ধ্বংস এবং বহির্বিশ্বে নার্সদের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হওয়া সহ এসডিজি অর্জন বিশেষভাবে বাধাগ্রস্ত হবে।যার ফলে অগ্রসরমান নার্সিং পেশার প্রতি মানুষ আস্থা হারাবে।
তাই নার্সিংয়ের ক্ষতি ও ধ্বংসের মূলেই রয়েছে মূলত কারিগরি শিক্ষা। এদেশের মানুষ কখনো কোনো যোগ্যহীন মানুষকে কোনো বড় পদে পদস্থ হতে দেয়নি আর কখনও দিবেও না।তাই নার্সিং শিক্ষার্থীদের দাবি কারিগরি নার্সিং নিপাত যাক।এতে ষড়যেন্ত্রর হাত থেকে মুক্তি পাবে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের অনুসারী নার্সিং।