👩⚕️স্টাফ রিপোর্টার: তানজিলা আক্তার সারা,
ঢাকা
তারিখ : ২১ শে জানুয়ারি ২০২১
🎯কভিড-১৯
♣️করোনা থেকে সুস্থ অনুভব করার পর ও কেন রিপোর্ট পজিটিভ আসে?
কোভিড থেকে সেরে ওঠার বেশ কিছুদিন পরও পিসিআর পরীক্ষায় পজিটিভ হতে পারে। এটি আসলে মৃত ভাইরাসের ভগ্নাংশ। ১৪ দিন পর ভাইরাস আর বংশবৃদ্ধি করে না বা সংক্রমণ ছড়ায় না। তাই পজিটিভ এলেও ভয়ের কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলা ও নিয়মিত ফলোআপ করা উচিত। আর পরীক্ষা করারও প্রয়োজন নেই।
পরামর্শ দিয়েছেন—অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ আরাফাত, চেয়ারম্যান, মেডিসিন বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়।
🎯উদ্বেগ
♣️স্বাভাবিকদের তুলনায় হাত পা বেশি ঘামার কারন ও করনীয়?
অতিরিক্ত উদ্বিগ্নতা থেকে এমনটা হতে পারে। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো পরিস্থিতি হলে বড় বড় করে শ্বাস নেয়া উচিত, যেন ফুসফুসে যথেষ্ট অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে। উদ্বিগ্নতা হ্রাসের জন্য প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি এবং সাঁতার কাটা খুব উপকারী। সবচেয়ে ভালো হয় যদি ইউটিউবের সাহায্য নিয়ে ধ্যান, ইয়োগা, শ্বাসের ব্যায়াম বা মাইন্ডফুলনেস চর্চা করতে পারেন। উদ্বিগ্নতার মাত্রা বেশি হলে কেবল বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে উদ্বিগ্নতানাশক ওষুধ (অ্যাংজিওলাইটিক) সেবন করতে পারেন। এ ছাড়া হরমোনজনিত জটিলতার জন্যও অস্বাভাবিক ঘাম হতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে শুধু হাত–পা নয়, সারা শরীর ঘামার কথা আর অন্যান্য আরও উপসর্গ থাকার কথা। ওপরের পরামর্শগুলো মেনে চলার পাশাপাশি একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া প্রয়োজন।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, ঢাকা
🎯ডায়াবেটিস
♣️ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধের উপায়?
খালি পেটে গ্লুকোজ ৬–এ নামিয়ে আনতে আর ট্রাইগ্লিসারাইড ১৫০–এর নিচে আনার জন্য প্রথমে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করুন ও নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করুন। শর্করাজাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন, ক্যালরি মেপে খান। সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট অ্যারোবিক ব্যায়াম বা হাঁটা, জগিং, সাইক্লিং ইত্যাদি চালিয়ে যাওয়া উচিত,যার ফলে, ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ, সহযোগী অধ্যাপক, এন্ডোক্রাইনলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ
🎯মেডিসিন
♣️খাদ্য বিপাক জনিত সমস্যায় করনীয়? (খাবার পর বমি ভাব,খাবার হজম না হওয়া,ভুঁড়ি বাড়া)
টিএসএইচ যথাযথ মাত্রায় (৫–এর কম) রাখার জন্য নিয়মিত পরীক্ষা করে একজন হরমোন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে থাইরক্সিনের মাত্রা ঠিক করা উচিত। ওজন বাড়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, ক্লান্তি, শুয়ে থাকার ইচ্ছা ইত্যাদি হাইপোথাইরয়েডের উপসর্গ। বমি ভাব ও টক ঢেকুরের জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ, ডমপেরিডনজাতীয় ওষুধ সেবন করা, টয়লেট পরিষ্কার রাখা। দরকার হলে খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করা। একবারে বেশি না খেয়ে অল্প করে খাওয়া, তৈলাক্ত খাবার পরিহার করা। খেয়েই না শোয়া। পিত্তথলির সমস্যায় চর্বিযুক্ত খাবার খেলে বদহজম হয়, তাই একটি আলট্রাসাউন্ড করা যেতে পারে।ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন।
পরামর্শ দিয়েছেন—ডা. আ ফ ম হেলালউদ্দিন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ, ঢাকা
🎯সকলকে ধন্যবাদ।