👤 স্টাফ রিপোর্টারঃ আফিয়া মারিয়া 🕤 তারিখঃ ২৬-০৮-২০২০
আল্টিমেটাম শেষ হলেও এখনো নবায়নের জন্য আবেদন করেনি প্রায় সাড়ে তিন হাজার বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। সেক্ষেত্রে নবায়নের মেয়াদ বাড়ানো হবে কি না-এ বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি স্বাস্থ্য অধিদফতর।
এদিকে নবায়ন জটের জন্য স্বা’স্থ্য অধিদফতরের ওপর দায় চাপাচ্ছে বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশেষজ্ঞরা, বলছেন এ খাতে সমন্বয় আনতে অধিদফতরের দক্ষতা বাড়ানোর বিকল্প নেই।
চলতি মাসের ৮ তারিখ দেশের বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ২৩ আগস্টের মধ্যে লাইসেন্স নবায়ন করার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদফতর। স্বাস্থ্য বিভাগের দেয়া তথ্য মতে, দেশে বর্তমানে বেস’রকারি হাসপাতাল ও ল্যাবের সংখ্যা ১৫ হাজারের বেশি। যার মধ্যে নবায়নের জন্য আবেদন করেছেন ১২ হাজার ২২১টি। এখনো নবায়নের জন্য আবেদন করেনি প্রায় সাড়ে তিন হাজার প্রতিষ্ঠান।
এ পর্যন্ত সারাদেশে স্বা’স্থ্য সেবা পরিচালনার অনুমোদন আছে মাত্র ৪ হাজার ৫১৯টি হাসপাতালও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। আর লাইসেন্স নবায়নের অপেক্ষায় আছে আরও সাত হাজার হাসপাতাল-ক্লিনিক।
নিয়মিত আবেদন করেও অধিদফতরের গাফিলতির কারণেই সময়মতো লাইসেন্স না পাওয়ার অ’ভিযোগ বেসরকারি হাসপাতালগুলোর।
নবায়নের সময় বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতা কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল পরিচালক ডা. ফরিদ হোসেন মিয়া জানান, সুপারভিশন ও মনিটরিংয়ের অভাবেই নির্ধারিত সময়ে নবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ জানান, বিপুল সংখ্যক প্রতিষ্ঠানের দেখভাল ও নজরদারি বাড়াতে জনবল ও অটোমেশনের ওপর জোর দিতে হবে।
বেস’রকারি হাসপাতাল ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়নের মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২৩ আগস্ট।