নিজস্ব প্রতিবেদক
৮সেপ্টেম্বর২০২০
‘ত্রিফলা’ অতি চমৎকার এক ভেষজ মিশ্রণ যা অসংখ্য রোগ নিরাময়ে আয়ুর্বেদ চিকিৎসকগণ ব্যবহার করে থাকেন। রেচক বা জোলাপ হিসেবে এর ব্যবহার হলেও অসংখ্য রোগ নিরাময়ে এর রয়েছে বিশাল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। আজ বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষতার দিনেও ত্রিফলার রোগ নিরাময়ী ভূমিকা পরিপূর্ণভাবে ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি। তাই অনেক বিজ্ঞানী, চিকিৎসক ও গবেষকগণের কাছে ত্রিফলা এক অত্যাশ্চর্যজনক ভেষজ মিশ্রণ। শুধু রেচক হিসেবে নয় উদ্দীপক ও শরীরের বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ত্রিফলা আমাদের শরীর হতে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, রক্ত পরিষ্কার করে, আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে পুনর্যৌবন দান করে এবং আমাদের দেহকে নবীন ও শক্তিশালী করে।
সংক্ষিপ্ত পরিচিতি
‘ত্রিফলা’ কথাটির মানে হচ্ছে তিন ফলের সমাহার বা মিশ্রণ। আর এই ফল তিনটি হলো আমলকী, হরিতকী ও বহেড়া। দ্রব্যগুণে ফল তিনটির অবস্থান অনেক ঊর্ধ্বে। শুধু আয়ুর্বেদ শান্ত্রে নয় আধুনিক গবেষণায়ও প্রমাণিত হয়েছে যে, দ্রব্যগুণে সর্বশ্রেষ্ঠ হচ্ছে হরিতকী, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমলকী এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে বহেড়া। ফল তিনটির বীজ বাদে বাকি অংশ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সমপরিমাণে মিশিয়ে ত্রিফলা তৈরি করা হয়।
আয়ুর্বেদ রসায়নে ‘ত্রিফলা’
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, মানবদেহ তিনটি মূল বা সারবস্তুর সমন্বয়ে গঠিত। এই সারবস্তু তিনটি হলো বাতা (Vata), পিত্ত (Pitta) এবং কাফা (Kapha)। ‘বাতা’ যার বাংলা মানে হচ্ছে বায়ু, যা আমাদের মন ও স্নায়ুতন্ত্রের সাথে জড়িত। এর স্বভাব বা প্রকৃতি হচ্ছে শুষ্ক, ঠান্ডা, হালকা এবং শক্তিশালী। দ্বিতীয় সারবস্তু হলো ‘পিত্ত’ যার বাংলা মানে হচ্ছে অগ্নি। এটি আমাদের বিপাক ক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত, যা আমাদের দেহে যাবতীয় খাদ্যের হজম ক্রিয়া এবং হজম পরবর্তী খাদ্যের যাবতীয় সারবস্তুর শোষণ নিয়ন্ত্রণ করে। এর স্বভাব বা প্রকৃতি হলো উষ্ণ, আর্দ্র এবং হালকা। তৃতীয় সারবস্তু ‘কাফা’ যার মানে হলো পানি বা শ্লেষ্মা। অনেক সময় পানি বা শ্লেষ্মাকে জীবনের মূল ভিত্তি বলা হয়। এটি আমাদের দেহের সকল গঠন ক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে। এটি আমাদের দেহের নিত্য নতুন কোষ তৈরি, মাংসপেশীর গঠন, হাড়ের গঠন এবং বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করে। এর প্রকৃতি বা স্বভাব হলো ঠান্ডা, আর্দ্র এবং ভারী।
এই বাতা, পিত্ত এবং কাফা এর সমন্বয়ে আমাদের দেহ গঠিত বলে এগুলোর যে কোনো একটির ভারসাম্যহীনতা বা অস্বাভাবিকতা আমাদের দেহে বিভিন্ন প্রকারের রোগ সৃষ্টি করে। আর ত্রিফলাতে রয়েছে এই সারবস্তুসমূহের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার কার্যকরী উপাদান। এই তিন সারবস্তুর ভারসাম্য রক্ষা করতে পারে বলে একে বলা হয় ত্রিদোষনাশক। ত্রিফলা (আমলকী, হরিতকী ও বহেড়া)-এর প্রতিটি ফলের ত্রিদোষনাশক গুণাবলী থাকলেও এর একেকটি ফল একেকটি সারবস্তু (বাতা, পিত্ত ও কাফা)-র ভারসাম্য রক্ষায় বেশি কার্যকরী। কোন ফলটি কোন সারবস্তুর ভারসাম্য রক্ষায় বেশি কার্যকরি তা নিম্নে আলোচনা করা হলো।
হরিতকী : এই ফলটি তিক্ত স্বাদযুক্ত যা আমাদের ‘বাতা’ (Vata) নামক সারবস্তু তথা মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণ ও ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই মস্তিষ্ক ও স্নায়ুবিক কোনো রোগে হরিতকী খুবই কার্যকরী। হরিতকী রেচক, সঙ্কোচক, পিচ্ছিলকারক, পরজীবীনাশক, মাংসপেশীর সঙ্কোচন প্রতিরোধক এবং স্নায়বিক দুর্বলতা প্রতিরোধী গুণসম্পন্ন। তাই দীর্ঘকালীন কোষ্ঠকাঠিন্য, স্নায়ুবিক দুর্বলতা, উদ্বিগ্নতা এবং অল্পতেই হৃদকম্পন বেড়ে যাওয়ার চিকিৎসায় হরিতকী ব্যবহৃত হয়। ত্রিফলার তিনটি ফলের মধ্যে হরিতকী সর্বশ্রেষ্ঠ রেচক এবং দ্রব্যগুণেও সর্বশ্রেষ্ঠ।
আমলকী : আমলকী অম্ল বা টক স্বাদযুক্ত যা পিত্ত (Pitta) নামক সারবস্তুর ভারসাম্য রক্ষায় খুবই কার্যকর। এটি ঠান্ডাকারক, সংকোচক, মৃদ্যু বিরেচক গুণসম্পন্ন। তাই আমাদের বিপাক (Metabolism) জনিত বিভিন্ন সমস্যা যেমন : আলসার, পাকস্থলীর প্রদাহ, আন্ত্রিক প্রদাহ, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, কলিজা বা লিভারের জ্বালাপোড়া, কলিজার সংক্রামণ (Liver Infection) এবং শরীরের জ্বালাপোড়া নিরাময়ে আমলকী খুবই কার্যকরী। আধুনিককালের অসংখ্য গবেষণায় আমলকীর ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রতিরোধী, কফ নিঃসারক এবং হৃদপিন্ডের টনিক গুণাবলীর প্রমাণ পাওয়া যায়। আমলকী ভিটামিন-সি-এর সবচেয়ে বড় প্রাকৃতিক উৎস। এতে কমলা লেবু অপেক্ষা ২০ গুণ বেশি ভিটামিন-সি রয়েছে এবং এর ভিটামিন-সি তাপে নষ্ট হয় না। এমনকি অতি উচ্চ তাপেও এর ভিটামিন-সি নষ্ট হয় না। তাই আমলকীর পুষ্টিও ওষুধি গুণ অপরিবর্তিত রেখে শুকিয়ে ১ বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায়। আমলকীর ভিটামিন-সি দীর্ঘস্থায়ী ও তাপ সহ্যকারী হওয়ার মূল কারণ হলো এতে বিদ্যমান ট্যানিন ভিটামিন-সি-এর সাথে বন্ধন তৈরি করে এবং এর ক্রমাগত হ্রাস বা ধ্বংস হওয়া প্রতিরোধ করে।
বহেড়া : বহেড়া কষায় স্বাদযুক্ত ফল। ইহা ‘কাফা’ (Kapha) নামক সারবস্তুর ভারসাম্য রক্ষায় খুবই কার্যকর। বহেড়া সংকোচক, টনিক, হজমশক্তি বৃদ্ধিকারক এবং মাংসপেশীর সংকোচন (Spasm) প্রতিরোধক গুণসম্পন্ন। বহেড়া দেহের প্রধান জীবনীশক্তি শ্লেষ্মা তথা রসকে বিশুদ্ধ করে এবং এর ভারসাম্য রক্ষা করে। তাই বহেড়া হাঁপানি, এলার্জি, ব্রংকাইটিস এবং কাশির ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী।
দেহ রোগাক্রান্ত হওয়ার কারণ
প্রাচীনকালে চিকিৎসা শাস্ত্রে একটি কথা প্রচলিত ছিল যে, হজম শক্তি ভাল হলে ভাল রক্ত তৈরি হয়। আর আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়, হজম শক্তির দুর্বলতা তথা আন্ত্রিক দুর্বলতাই দেহে রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ। এই প্রাচীন তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই বিশ্বের অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয় রোগ সৃষ্টির মূল কারণ অনুসন্ধানে অসংখ্য গবেষণা কর্ম পরিচালনা করে। সকল গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে গবেষকগণ এই সিদ্ধান্তে উপনীত হন যে, কোষ্ঠকাঠিন্য, হজম শক্তির দুর্বলতা এবং আন্ত্রিক দুর্বলতাই দেহে রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ।
আমরা যেসব খাবার ও পানীয় গ্রহণ করি আমাদের শরীর সেসব খাদ্য ও পানীয় হতে প্রয়োজনীয় শক্তি উৎপন্ন করে। আর খাদ্যকে শক্তি উৎপাদনের জন্য ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের ব্যবহার উপযোগী সরল উপাদানের পরিণত করার কাজটি করে থাকে পরিপাকতন্ত্র। আর এই পরিপাকে অংশগ্রহণ করে হজমে সহায়তাকারী বিভিন্ন পাচক রস, এনজাইম এবং এসিড। তাই আমাদের শরীরের হজমশক্তি যদি দুর্বল হয় তবে শরীর জৈবিক কার্যাবলী নিয়ন্ত্রণের জন্য পর্যাপ্ত শক্তি পায় না এবং এর ফলশ্রুতিতে আমাদের শরীরে বাসা বাঁধে অসংখ্য রোগ এবং সৃষ্টি করে শারীরিক জটিলতা।
কেন এবং কিভাবে রোগ হয়
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, আমাদের শরীরে যখন ক্ষতিকর এবং বিষাক্ত বস্তু উৎপন্ন হয়, তখন সেসব বিষাক্ত বস্তুর বিষক্রিয়ায় শরীরের সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। এই বিষাক্ত বস্তুসমূহকে বলা হয় ‘আমা’ (Ama)। ‘আমা’ হলো অাঁঠালো শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ যা আমাদের দেহে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের আংশিক বা অসম্পূর্ণ হজমের ফলে উৎপন্ন হয়। এই আমা আমাদের শরীরের মূল সারবস্তু (বাতা, পিত্ত ও কাফা)সমূহের ভারসাম্যতা নষ্ট করে এবং শরীরে সৃষ্টি করে রোগ-ব্যাধি। ‘আমা’ শুধু আমাদের দেহে রোগ বা জটিলতা সৃষ্টিই নয় বরং অকাল বার্ধক্যেরও সৃষ্টি করে।
আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে, খাদ্যদ্রব্যের আংশিক বা অসম্পূর্ণ বা বিপাক (Metabolism)-এর ফলে উৎপন্ন অাঁঠালো শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ বা ‘আমা’ দেহে রোগ সৃষ্টির প্রধান কারণ। আর চীনা লোকজ চিকিৎসা শাস্ত্রের এক ‘অদৃশ্য শ্লেষ্মা’-কে বলা হয়েছে রোগের মূল কারণ। এ প্রাচীন তথ্যসমূহের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানীরা অসংখ্য গবেষণা পরিচালনা করেন। সেসব গবেষণা প্রসূত ফলাফলের উপর ভিত্তি করে আজ তারা বলেছেন যে, সেই ‘আমা’ বা অদৃশ্য শ্লেষ্মাই হচ্ছে রক্তের অতিরিক্ত কোলেস্টেরল এবং লিপিড।
গবেষণায় আরও দেখানো হয় যে, এই কোলেস্টেরল ও লিপিড শ্লেষ্মাধর্মী এবং অাঁঠালো। যার ফলে এগুলো রক্তনালীতে জমে রক্তনালী পুরু করে রক্তের স্বাভাবিক প্রবাহ ব্যাহত করে। আর এর ফলে শরীরে ক্যান্সার, হৃদরোগ, বাত রোগ, সৃষ্টি হয় এবং শরীর অকালেই বার্ধক্য জরাগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
‘আমা’-এর ফলে সৃষ্ট রোগসমূহ
‘আমা’ বা অাঁঠালো শ্লেষ্মা ধর্মী বস্তুটির বৈশিষ্ট্য আজও আমাদের নিকট পরিপূর্ণভাবে স্বচ্ছ নয়। কিন্তু গবেষণায় প্রমাণ পাওয়া যায় যে, এই ‘আমা’-ই বাতা (Vata), পিত্ত (Pitta) এবং কাফা (Kapha)-এর মধ্যকার সাম্যাবস্থা বিনষ্ট করে শরীরে রোগ সৃষ্টি করে। ‘আমা’ শরীরে যেসব রোগ বা জটিলতা সৃষ্টি করে তার একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা নিম্নে দেয়া হলো-
বদহজম
কোষ্ঠকাঠিন্য
ক্যান্সার
ডায়াবেটিস
উচ্চ রক্তচাপ
হৃদরোগ
শ্বাসকষ্ট
শোথ রোগ
রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যাওয়া
অকাল বার্ধক্য
যকৃত বা লিভারে সমস্যা
ক্রমাগত মাথা ব্যথা
দৃষ্টিশক্তি হ্রাস
শারীরিক শক্তিসহ আরও অসংখ্য রোগ প্রভৃতি।
রোগমুক্তির সমাধান
যেহেতু তিন সারবস্তুর ভারসাম্যহীনতা বা ত্রিদোষ এবং ‘আমা’-এর ফলে দেহে রোগ হয়, তাই ত্রিদোষনাশক এবং আমানাশক বস্তুই পারবে আমাদের রোগমুক্ত করতে। আর ‘ত্রিফলা’ হচ্ছে সেই আশ্চর্যজনক মিশ্রণ যা ত্রিদোষনাশক এবং আমানাশক। ত্রিফলাতে রয়েছে এ্যানথ্রাকুইনোন যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং হজমশক্তি বৃদ্ধি করে। তাই রেচক হিসেবে এর ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়। কিন্তু শুধু রেচক হিসেবে নয় উদ্দীপক, দেহ পরিষ্কারক, বিষাক্ত বস্তু নিঃসারক, বলবৃদ্ধিকারক ও অকালবার্ধক্য প্রতিরোধক হিসেবেও ত্রিফলা খুবই কার্যকরী। তাই ত্রিদোষনাশ ও আমানাশ করার মাধ্যমে আমাদের সুস্থ রাখতে ত্রিফলার অবদান অনন্য।
ত্রিফলার কতিপয় গুণাবলী
আজ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ত্রিফলা-র উপর গবেষণা হচ্ছে। ত্রিফলার অনেক গুণাবলী আজ আমাদের কাছে প্রমাণিত। নিম্নে এর কতিপয় গুণাবলী দেয়া হলো-
হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে
দেহে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়
রক্তচাপ কমায়
হৃদরোগ কমায়
রক্তে কোলেস্টরল কমায়
যকৃত বা লিভারের রোগ প্রতিরোধ করে
লিভারের পিত্ত (Bile) নিঃসরণ বাড়ায়
কফ্ নিঃসরণ করে
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
ওজন হ্রাস করে
ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে
এলার্জি কমায়
HIV, CMV, হার্পেস (Harpes) ভাইরাস প্রতিরোধ করে
এইডস প্রতিরোধ করে
উপকারী ফ্যাটি এসিড (HDL)-এর পরিমাণ বাড়ায় প্রভৃতি।
ত্রিফলা কিভাবে দেহকে দোষমুক্ত করে
ত্রিফলার ত্রিদোষনাশক গুণাবলী বুঝতে হলে, আগে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহ সম্পর্কে ধারণা পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
লবণাক্ত কোষ্ঠ পরিষ্কারক- এগুলো লবণ বা লবণাক্ত খাবারের সমন্বয়ে তৈরি। লবণের এক অনন্য বা বিশেষ গুণ হলো ইহা পানি শোষণ করতে পারে। যখন লবণ বা লবণাক্ত খাবার আমাদের অন্ত্রে পৌঁছে, সেগুলো তখন আশেপাশের কোষ ও কলা হতে পানি শোষণ করে। ফলে পরিপাককৃত খাবারে পানির পরিমাণ বেড়ে যায় এবং মল নরম হয়।
তিলক বালা/বিডিনার্সিং২৪