সিনিয়র রিপোর্টার: রাবিয়া আক্তার মীম।
মিরপুর, ঢাকা।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের কারণে নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, দীর্ঘ সময় স্কুলের বাইরে থাকার কারণে অনেক শিশুর মধ্যেই আচরণগত পরিবর্তন আসতে পারে।
তারা বলছেন, এমন পরিস্থিতি একদিকে যেমন তাদের সঠিক মানসিক বিকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারে অন্যদিকে নিয়মতান্ত্রিক জীবনে অনভ্যস্ত হওয়ার প্রবণতা তৈরি হতে পারে শিশুদের মধ্যে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত বছরের ১৭ই মার্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এর পর দফায় দফায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হয়েছে। সবশেষ গত ১৫ই জানুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায় যে, আগামী ৩০ই জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।
এর মধ্যে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করছে। চিকিৎসা মনোবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলছেন, অনলাইন ক্লাসের কারণে শিশুদের মোবাইল এবং ইন্টানেটের প্রতি আসক্তি বাড়তে পারে।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সিল সেন্টারের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ইসরাত শারমিন রহমান বলেন, অনেক বাবা-মাই তাদের কাছে আসছেন যারা বলছেন যে, প্রযুক্তি আসক্তি বাড়ছে।
প্রযুক্তি আসক্তির ফলে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জীবন থেকে সরে যাচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইনে ক্লাস করার কারনে শিক্ষার্থীদের কানে হেডফোন থাকে । যার ফলে শ্রবণশক্তি সহ মস্তিষ্কেও মাত্রাতিরিক্ত চাপ পড়ে। এছাড়াও দীর্ঘ সময় বসে থাকার কারণে পিঠ ও কোমরে ব্যথা অনুভব হয়।মেজাজ খিটখিটে হওয়ার সাথে অন্যদের সাথে খারাপ ব্যবহার করা শুরু হয়।
করোনা মহামারী যেমন পড়ালেখার চরম ক্ষতি করছে তেমনি শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলছে যা অপূরণীয়।