সোমবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

রাতে কখন ঘুমাবেন, রাতের খাবারের পরই কেন ঘুমিয়ে পড়া উচিত নয়?

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৫০২ Time View

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ আফিয়া মারিয়া
তারিখঃ ০৬.০৯.২০২০

কখনও এমন হয়েছে, আপনি এত খেয়েছেন যে আর নড়তে পারছেন না, মনে হচ্ছে এক্ষুণি গিয়ে না শুয়ে পড়লে আর চলবেই না? আমাদেরও মনে হয়েছে। শুনতে দিব্যি মনে হলেও এর থেকে আপনার বদহজম, বুকজ্বালা, এসিডিটি, ওজন বৃদ্ধি এমনকি স্ট্রোক পর্যন্ত হতে পারে। আপনি হয়তো দেখেছেন অনেকেই খাওয়ার পর কিছুটা হাঁটাহাঁটি করেন। বিছানায় ওঠার আগে তাড়াতাড়ি শেষ খাবার হজম করার জন্যই তাঁরা এটা করেন। সর্বত্র ডাক্তাররা কেন খেয়ে সাথে সাথেই শুয়ে পড়তে বারণ করেন? খাওয়া আর শোয়ার মধ্যে কতটা সময়ের ব্যবধান হওয়া উচিত? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

হজমে বাধা দেয়

প্রাথমিকভাবে এর প্রভাব আপনার হজমশক্তির ওপরেই পড়বে। ঘুমাবার সময় আমাদের শরীরকে খাবার হজম করতে বেশী কষ্ট করতে হয়। নিউট্রিশনিস্ট রূপালী দত্ত বলেছেন, ‘খাবার পরেই শুয়ে পড়লে আপনার খাবার হজম হতে দেরি হয়। ইন্টেস্টাইনের দেওয়ালের ভিতর দিয়ে খাবার প্রবেশ করতে পারে না। ফলে গ্যাস, এসিড, বুকজ্বালা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দেয়। ঘুমের বিভিন্ন সমস্যা দেখা যায় এবং অপর্যাপ্ত ঘুমের ফলে ওজন ও বৃদ্ধি পায়

অপর্যাপ্ত ঘুম

ঘুমানোর অল্প সময়ে আগে খাবার খেলে ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত, যখন আপনি কোন মিষ্টি জাতীয় খাবার খান, তখন তার ফলে আপনার শরীরে যে অহেতুক এনার্জি বুস্ট হয়, তা আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায়।

ওজন বেড়ে যেতে পারে

হজমের দেরী আর অপর্যাপ্ত ঘুম- ওজন বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ। দিনের শেষে মেটাবলিজম কম হয়, ফলে আপনি যা কিছুই খান না কেন, তা বার্ন করা কঠিন হয়ে পড়ে।

ডঃ রূপালী দত্ত জানিয়েছেন, “হজম ভাল হওয়ার জন্য একটু আগে ডিনার করা ভাল। আমরা যা কিছু খাই, তা থেকে যদি ক্যালোরি তৈরি না হয়, তবে তা ফ্যাট হিসাবে আমাদের শরীরে জমা হতে থাকে। আমাদের শরীর সূর্যের গতিবিধির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি খাবো তত তাড়াতাড়ি খাবারের পুষ্টিগুণ আমাদের শরীরে শোষিত হবে। খেতে দেরী হলে খাবারের সমস্ত পুষ্টিগুণ শরীরে শোষিত না হয়ে ফ্যাট আকারে জমতে থাকবে।”

বুকে জ্বালা

খাবার খাওয়ার সাথে সাথেই শুয়ে পড়লে বুকজ্বালা এবং এসিডিটির সমস্যা বাড়তে থাকে। খাবার পরেই পেটে চাপ দিয়ে শুয়ে থাকলে এই অবস্থা আরো বাজে আকার ধারণ করবে।

সমীক্ষায় জানা গেছে, এসিডিটির ফলে স্লীপ অপনিয়া হতে পারে, যার থেকে স্ট্রোক পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বদহজমের ফলে ব্লাড কোলেস্টেরল ও ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়, যা হার্টের পক্ষে ক্ষতিকর।

খাওয়া আর ঘুমের মধ্যে মিনিমাম কতক্ষণ গ্যাপ থাকা দরকার?
ম্যাক্রোবায়োটিক নিউট্রিশনিস্ট এবং হেল্থ প্রাক্টিসনার শিল্পা আরোরা জানান, ‘ডিনার এবং ঘুমের মধ্যে অন্তত 3 ঘন্টা গ্যাপ থাকা প্রয়োজন। এর ফলে বদহজম, বুকজ্বালা এবং অন্যান্য স্লীপ ডিসঅর্ডারের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ভরা পেটে ঘুমালে শরীরে মেটাবলিজম কমে যায়, ফলে ওজন বৃদ্ধি ও ওবেসিটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।” ডঃ রূপালী জানিয়েছেন, “ডিনার এবং ঘুমের মধ্যে কমপক্ষ্যে 2 ঘন্টা গ্যাপ থাকা বাধ্যতামূলক”।

সেই কারণেই, পরেরবার যখনই আপনি কোনও ভারী খাবার খাবেন, খেয়াল রাখবেন ডিনার খাওয়ার আর ঘুমানোর মধ্যে যথেষ্ট সময়ের ব্যবধান যেন থাকে। একটা সাজেশন: পারলে তাড়াতাড়ি ডিনার করবেন।

এরকম আরও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত টিপস পেতে বিডি নার্সিং ২৪ এর সাথে থাকুন

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102