✍নিউজডেস্কঃ রামেক হাসপাতালে ডেপুটি নার্সিং সুফিয়া খাতুন এর রামরাজত্ব। রামেক ভায়া সেন্টারে দীর্ঘদিন কাজ করার পর পদোন্নতি পেয়ে ডেপুটি নার্সিং সুপারেন্টেনডেন্টের দায়িত্ব পান। ২০২১ সালের ১৮-১৯ জানুয়ারি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। সিনিয়র স্টাফ নার্স কে যৌন হয়রানি করেন ডাক্তার মামুনুর রহমান। বিষয়টি ডেপুটি নার্সিং সুফিয়া বেগম নার্সিংওমিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করেছেন এরই আলোকে নার্সিং ও মিড ওয়াইফারি অধিদপ্তরের পরিচালক শিক্ষা মো আব্দুল হাই স্বাক্ষরিত চিঠিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। ঘটনা সরেজমিনে তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন সহ চার কর্মকর্তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে। ঘটনা গোপন করার অভিযোগে অধিদপ্তর রাজশাহী চার কর্মকর্তাকে তলব করলেও।
বিভাগীয় সহকারি পরিচালক (নার্সিং) পদটি ফাঁকা আছে । এ পদে কোন কর্মকর্তা নেই প্রায় দুই মাস ধরে। এই সুযোগটাও যথা যথ ভাবে কাজে লাগিয়েছেন ।ডেপুটি নার্সিং সুপার সুফিয়া বেগম। কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতি কালে সেখানেও রয়েছে অনেক দুর্নীতি। কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্সদের সাথে কর্তৃপক্ষ হিসেবে দুর্ব্যবহার এবং অসাদ -আচরণে ক্ষিপ্ত নার্সিং মহলের অনেকে। ভুক্তভোগী কয়েকজন সিনিয়র স্টাফ নার্স জানান। আমরা সুফিয়া ম্যাডামের ব্যবহারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। সিনিয়র স্টাফ নার্স সামিনা আক্তার ও সাবিনা ইয়াসমিন লিখিত অভিযোগে রামেকের নার্স অ্যাসোসিয়েশন কে জানান।
সাত দিন ডিউটি করার পর ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা থাকলেও তিনি পুনরায় আমাদের ডিউটি করতে বলেন। হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা জানালে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও ভয়-ভীতি প্রদর্শন করেন। সিনিয়র স্টাফ নার্স শাহিদা খাতুন তিনিও সুফিয়া ম্যাডাম এর অসাদ আচরণ প্রসঙ্গে নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনে লিখিত অভিযোগ করেন। সিনিয়র স্টাফ নার্স রোজিনা ইয়াসমিন লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে নার্সিং অ্যাসোসিয়েশনকে জানান। সাতদিন ডিউটি করার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা বললে তাকেও দুর্ব্যবহার ও গালিগালাজ করেন। সিনিয়র স্টাফ নার্স হাজেরা খাতুন জানান আমার 20 মাসের বাচ্চার অপারেশন ডাক্তারের পরামর্শে প্রতিদিন দুইবার ড্রেসিং ক্যাথেডার ওয়াশ করতে হয়। এ কথা জেনেও সুফিয়া ম্যাডাম মিশন হাসপাতালের ডিউটি করতে বলেন। ডিজিএনএম এর একটি আদেশে বলা হয়েছে লেক্টেটিং মাদার কে যথাসম্ভব দূরে রাখার কথা বলা হয়েছে। একথা শোনার পর অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমান করেন সুফিয়া ম্যাডাম।সিনিয়র স্টাফ নার্স নাজনীন আক্তার লিখিত অভিযোগের মাধ্যমে বি এন এ রাজশাহী শাখায় জানান। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে সুফিয়া ম্যাডাম।
করোনা কালিন সময়ে ডিউটি নার্সের জন্য হ্যানস্যানিটাইজার, মাস্ক, বালতি, তোয়ালে,মগ,বধনা, প্রোত্যকের জন্য আলাদা থাকলেও পাঁচ জন কে একজনার করে দেওয়া হয়েছে।যা তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।কান্নাজড়িত কন্ঠে সিনিয়র স্টাফ নার্সরা জানান আমাদের জোর দাবি এধরনের কতৃপক্ষ কে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি প্রদান করা হোক। এ সকল অভিযোগের বিষয়ে ডেপুটি নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুফিয়া বেগম। ফোন আলাপে জানান কিছু ভুল ছিলো তবে নার্সিং সুপার আনোয়ারা ম্যডামের নির্দেশনায় সব কাজ করি।