স্টাফ রিপোর্টার:রাবিয়া আক্তার মীম
ফুলপুর,ময়মনসিংহ।
বিশ্বের সাগর ভ্রমণের অন্যতম আকর্ষণ হলো বিলাসবহুল জাহাজ। এসব প্রমোদতরী সমুদ্রে ভেসে থাকা সত্ত্বেও এখানে রয়েছে আধুনিক সব নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। রয়েছে নীল জলরাশি ও আকাশের মিতালি উপভোগ করার ব্যবস্থা।কাটানো যায় অবকাশের সেরা সময় গুলো।
তবে নানা জটিলতায় বারবার উদ্যেগ নেয়া হলেও বিলাসবহুল জাহাজে চড়ে ঘুরে বেড়ানো আমাদের জন্য অধরাই ছিল।তবে এইবার সেই সুযোগের দুয়ার উন্মোচন হতে যাচ্ছে।সে সুযোগ করে দিচ্ছে চট্টগ্রামের বিখ্যাত কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড।
পর্যটকদের আন্তর্জাতিক মানের ভ্রমণ অভিজ্ঞতা দিতে জাপান থেকে বিলাসবহুল এই জাহাজটি কেনা হয়েছে।গত শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায়। আগামী অক্টোবরের শেষ দিকে সরকারের নির্দেশনা পেলে প্রমোদতরীটি পর্যটকদের সেবা দেয়া শুরু করবে।
প্রাথমিকভাবে এটি ভ্রমণ পিপাসুদের কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন পর্যন্ত সাগরে ভ্রমণের আনন্দ দিবে।ইতিমধ্যে জাহাজটি বার্থিংয়ের জন্য কক্সবাজারের দরিয়া নগরে জেটিঘাট নির্মাণ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়েছে।
এই বিলাসবহুল জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৩৯৩ ফুট, প্রস্থ ৫৫ ফুট ও ১৮ফুট ড্রাফট রয়েছে। এর গড়গতি ঘন্টায় ১৬.১ নটিক্যাল মাইল এবং সর্বোচ্চ গড়গতি ঘন্টায় ২৪ নটিক্যাল মাইল। তবে বাংলাদেশের উপকূলীয় সমুদ্রপথে এই জাহাজ প্রতি ঘন্টায় গড়ে ১৮ থেকে ২০ নটিক্যাল মাইল বেগে চলতে সক্ষম।
এই প্রমোদতরীতে থাকছে দুই হাজার প্রেসিডেন্ট স্যুট,বাংকার বেড কেবিন,টুইন বেড কেবিন, আরামদায়ক চেয়ার, একটি রেস্তারাঁ এবং কয়েন পরিচালিত ঝর্ণা। আশা করা যায়, অক্টোবরের শেষ নাগাদ এটি যাত্রা শুরু করবে।