বিশু, ঢাকা: পৃথিবীজুড়ে তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন এই ভাইরাস নিয়ে। এমন একটি গবেষণায় জানা গেল, যাঁদের করোনার সামান্য লক্ষণ দেখা গেছে এবং দ্রুতই সুস্থ হয়ে উঠেছেন, তাঁদের শরীরেও এমন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা দীর্ঘ সময় পর্যন্ত সক্রিয় থাকে। এ বিষয় নিয়ে ‘নিউইয়র্ক টাইমস’ পত্রিকায় (অনলাইন) ১৬ ও ১৭ আগস্ট দুটি গুরুত্বপূর্ণ লেখা ছাপা হয়েছে।
শরীরের রোগপ্রতিরোধী অ্যান্টিবডি সব ধরনের ভাইরাস বা জীবাণুর বৈশিষ্ট্যগুলো স্মৃতিতে একই মাত্রায় ধারণ করে রাখে না। কিন্তু বিজ্ঞানীরা দেখছেন, বিশেষভাবে করোনাভাইরাসকে শরীরের অ্যান্টিবডি অনেক দিন মনে রাখে। এমনকি কয়েক মাস পর যদিও নিষ্ক্রিয় হয়, তা-ও সুপ্ত অবস্থায় থেকে যায় এবং প্রয়োজনে সক্রিয় হয়ে ওঠে।
ধরা যাক, কোনো ব্যক্তি সামান্য লক্ষণ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হলেন। সুস্থ হয়ে ওঠার পর তাঁর শরীরে যে রোগপ্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, সেই সঙ্গে রোগপ্রতিরোধী বি এবং টি-সেলগুলো বেশ কয়েক মাস পরও করোনাভাইরাসকে চিহ্নিত করতে পারে এবং সহজে তাকে নিষ্ক্রিয় করে। এটা বলতে গেলে সাম্প্রতিক আবিষ্কার। অবশ্য এই তথ্যটি এখনো বিশেষজ্ঞদের মূল্যায়নের পর্যায়ে রয়েছে। এটা যদি সঠিক হয়, তাহলে বলা যায় কোনো কোনো দেশ হয়তো কম সময়ের মধ্যেই হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে পারে, এটা অসম্ভব নয়।