📝সিনিয়র রিপোর্টারঃ আদনান ফারাবী সুমন
ভুয়া সদন ও জালিয়াতির মাধ্যমে ১২ জনকে এমবিবিএস চিকিৎস হিসেবে নিবন্ধন দেওয়ায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) রেজিস্ট্রারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের উপ-পরিচালক মোছা. সেলিনা আখতার মনির দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পারস্পরিক যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রতারণা, জাল-জালিয়াতি ও মিথ্যা তথ্য প্রদান করে ভুয়া সনদ ব্যবহারের মাধ্যমে এমবিবিএস চিকিৎসক হিসেবে রেজিস্ট্রেশন সনদ গ্রহণ করেছে।
মামলার আসামীরা হলেন, বিএমডিসির প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ও রেজিস্ট্রার মো. জাহিদুল হক বসুনিয়া। এছাড়া ভুয়া সনদের চিকিৎসক অপর আসামীরা হলেন, মো. ইমান আলী, সুদেব সেন, তন্ময় আহমেদ, মো. মাহমুদুল হাসান, মো. মোক্তার হোসাইন, মো. আসাদ উল্লাহ, মো. কাউসার, রহমত আলী, শেখ আতিয়ার রহমান, মো. সাইফুল ইসলাম, মো. আসলাম হোসেন ও মোহাম্মদ মাসুদ পারভেজ। তাঁদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ এবং ১৯৪৭ সালের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযুক্ত ভুয়া চিকিৎসকরা চীনের তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন বলে দাবি করেন। তারা ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়া এমবিবিএস সনদ ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন কোয়ালিফাইং পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করেন। তাঁরা ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন দাবি করে নিবন্ধন নম্বর গ্রহণ করে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজে ইন্টার্ন করেছেন। এছাড়া তাঁদের অনেকেই দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন।
সম্প্রতি যাচাই-বাছাইকালে তাঁদের সনদের বিষয়ে প্রশ্ন উঠায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাহায্যে তাইশান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের এমবিবিএস সদন ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়। তাঁদের অধিকাংশই কখনোই চীন যায়নি। কয়েকজন টুরিস্ট ভিসায় দেশটিতে কিছুদিন অবস্থান করেছিলেন।