জাহিদ হাসান,ঢাকাঃ নার্স শব্দের অর্থ সেবক/সেবিকা অর্থাৎ যে সেবা দান করেন তিনি নার্স। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ৯০% মেয়ে নার্সিং শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পেলেও মাত্র ১০ % ছেলের সুযোগ আসে নার্সিং এ শিক্ষা গ্রহণের।
নার্স বলতেই আমরা বুঝি মেয়েরা এ শিক্ষা নিয়ে সেবা প্রদান করবে কিন্তু না এই সেবামূলক কাজে অনেক ছেলেও জড়িত। বাংলাদেশ সরকার নার্সিং পেশাকে সম্মানিত করতে ২য় শ্রেণীর অফিসার পদমর্যাদা প্রদান করে। অর্থাৎ নার্সদের নার্সিং অফিসার পদবী দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবতায় বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে কোনো নার্সকে নার্সিং অফিসার বলা হয় না বরং ছেলে নার্সিং অফিসার হলে ব্রাদার আর মেয়ে নার্সিং অফিসার হলে সিস্টার বলে ডাকা হয়।
এই অদ্ভুত ব্রাদার/সিস্টার পদবীর লিখিত কোন রুপ না থাকলেও হাসপাতালের সবাই নার্সিং অফিসারদের এই পদবী তে ভূষিত করেন। বিভিন্ন হাসপাতালের নার্সিং অফিসারদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারাও বিরক্ত এই অদ্ভুত পদবীর জন্যে,কে বা কারা নার্সদের এই ব্রাদার/সিস্টার পদবী দিয়েছে বা কোথা থেকে এর আবির্ভাব জানা যায় নি।
এই বিষয় এ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালের নার্সিং মেট্রন /সুপারভাইজাদের কাছে bdnursing24 এর প্রশ্ন ছিল কেন তাদের নার্সিং অফিসারদের ব্রাদার/সিস্টার বলা হয়? তারা জানান শুনতে খারাপ লাগলেও কাজের স্বার্থে তারা বিষয়টি মেনে নিয়েছেন। বর্তমান তরুন নার্সরা কিছুতেই চান না তাদের কে ব্রাদার /সিস্টার পদবীতে ডাকা হোক।
নার্সদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন “সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এন্ড রাইটস ” এর মহাসচিব সাব্বির মাহমুদ তিহান bdnursing24.com কে জানান বিষয়টি নিয়ে তারা জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। খুব শীঘ্রই ব্রাদার /সিস্টার পদবী বন্ধ হবে এবং নার্স ছেলে হোক বা মেয়ে তাদের কে নার্স/নার্সিং অফিসার পদেই সবাই চিনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।