নার্সিং ইনস্টিটিউট টাঙ্গাইলের শিক্ষার্
📝সিনিয়র রিপোর্টার: আদনান ফারাবী সুমন
এবারের শহীদ মিনারে আগত ব্যক্তিদের মানতে হচ্ছে বিশেষ সতর্কতা। এবার করোনার কারণে প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে পক্ষ থেকে পাঁচ এবং ব্যক্তি পর্যায়ে দুজন একসঙ্গে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। মাস্ক পরা এবং নির্দিষ্ট রুটম্যাপ অনুসরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন তারা। এছাড়া সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঁচ এবং ব্যক্তি পর্যায়ে দুজন করে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার নির্দেশনা কর্তৃপক্ষের।
মায়ের ভাষার অধিকার কেড়ে নেওয়ার প্রতিবাদে পাকিস্তানি শাসকদের বুলেটের সামনে প্রাণ দিয়েছিলেন যে সূর্যসন্তানরা, পুরো জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছে তাদের। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি পেয়েছিল ভাষার অধিকার, একুশের প্রথম প্রহরে সেই সব শহীদদের প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধায় ভরে ওঠে শহীদ মিনার। “একুশ মানে মাথা নত না করা” রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে বাঙালির রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল রাজপথ, যার ধারাবাহিকতায় অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বাঙালির এই আত্মত্যাগের দিনটি এখন রাষ্ট্রীয় সীমানার গণ্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে সারা বিশ্বে।
একুশের প্রথম প্রহরে ফুল দেওয়ার জন্য ছাত্র-জনতা ব্যানার, পোস্টার, ফুলের তোড়া নিয়ে প্রণীত রুটম্যাপ অনুযায়ী শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শহীদ মিনারের প্রাঙ্গনের সামনে অপেক্ষা করতে থাকে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-জনতা। রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সর্বসাধারণের জন্য গেট খুলে দিলে দলবদ্ধ ও এককভাবে শহীদ মিনারে প্রবেশ করে শ্রদ্ধা জানাতে জড়ো হওয়া মানুষ।