শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৬ পূর্বাহ্ন

দেশজুড়ে আবারও ডেঙ্গুর প্রকোপ

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২১
  • ৫২২ Time View

সিনিয়র রিপোর্টারঃ মরিয়ম আক্তার, মুন্সিগঞ্জ।

একদিকে করোনার মহামারি আরেক দিকে আবারো হানা দিচ্ছে ডেঙ্গু।নতুন বছরে মাত্র ২৩ দিনে মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে এখন পর্যন্ত ৩১ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এর মধ্যে চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৩ জন। শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমার্জেন্সী অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. এ বি মো. শামছুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে বর্তমানে আটজন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন।

তাদের মধ্যে পাঁচজন ঢাকায় ও তিনজন রাজধানীর বাইরে ভর্তি আছেন বলে কন্ট্রোল রুম থেকে জানানো হয়েছে।

সরকারি প্রতিবেদন অনুযায়ী, নতুন বছরে এখন পর্যন্ত ৩১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে চিকিৎসা শেষে ২৩ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টর ও কন্ট্রোল রুম জানিয়েছে, শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়নি।

এই সময়ে সচেতনতা অবলম্বনেঃ

আমরা সবাই জানি যে ডেঙ্গুর ভাইরাস মানুষ থেকে মানুষের দেহে ছড়ায় মশার মাধ্যমে। মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক। ডেঙ্গু ভাইরাস যে বিশেষ মশার মাধ্যমে ছড়ায়, তার নামও সবাই জানে—এডিস মশা। এডিস মশার দুই রকম প্রজাতি আছে। একটির নাম এডিস ইজিপ্টি ও অপরটি এডিস এলবোপিক্টাস। তবে আমাদের এই অঞ্চলে এডিস ইজিপ্টিই বেশি। এরা কামড়ায় সাধারণত দিনের বেলায়, বিশেষ করে শেষ বিকেলে।

এডিস মশা একটু গৃহী ধরনের। পছন্দ করে আবদ্ধ জলাধার। এরা বাসাবাড়ির টবে, ফ্রিজের পেছনে জমে থাকা পানি, এসির পানি, কমোডে আটকে থাকা পানি ইত্যাদিতে বংশবিস্তার করে। রাস্তার খানাখন্দ, পড়ে থাকা পুরোনো টায়ার, যেকোনো রকমের পাত্র, জেরিক্যান, মোটকথা যেখানে পানি কিছুদিন জমে থাকতে পারে, সেখানেই এদের বসবাস ও প্রজনন।

যেহেতু মশাই এই রোগের একমাত্র বাহক, সুতরাং মশার আবাস ও প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস করতে পারলেই এডিস নির্বংশ হবে সমূলে। ডেঙ্গু প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় তাই এডিস মশার বংশ নাশ। তাই বসতবাড়ির এ রকম আবদ্ধ জলাধার ধ্বংস করতে হবে। ফ্রিজের বা এসির পানি দুই দিন পরপর পরিষ্কার করতে হবে। বাসার বারান্দায়, টেরিসে বা কার্নিশে খোলা টব থাকলে সেটা পরিষ্কার করতে হবে। নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়ও কম নেই।

সবারই সচেতন থাকা এবং নিজের আশেপাশে পরিষ্কার পরিছন্ন রাখা উচিত।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2021
Design & Developed by Freelancer Zone
themesba-lates1749691102