👩🦰সিনিয়র রিপোর্টারঃমরিয়ম, চাঁদপুর।
গলায় অবস্থিত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে তৈরি হরমোন শারীরিক বৃদ্ধি ও কর্মতৎপরতাকে প্রভাবিত করে। আর এই গলগ্রন্থি সুস্থ রাখতে চাই প্রয়োজনীয় পুষ্টি।
প্রজাপতি আকৃতির এই গ্রন্থি গলার ভেতর সামনের দিকে অবস্থিত। শরীরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ যেমন- তাপমাত্রা, শ্বাস-প্রশ্বাস, হৃদ-কম্পন, শরীরের ওজন এমনকি নারীদের রজঃচক্র নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার আমাদের বিপাক প্রক্রিয়াকে সুস্থ রাখে। তাই সঠিক খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এই থাইরয়েড গ্রন্থিও সুস্থ রাখা সম্ভব।
থাইরয়েড সুস্হ্তায় কিছু খাবার।
**দই: এটা ভিটামিন ডি এবং প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ যা থাইরয়েডের সুস্থতা রক্ষা করে। থাইরয়েডের অসমতা প্রতিরোধে সহায়তাকারী ভালো ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য রক্ষা করতে দই সাহায্য করে।
**জলপাইয়ের তেল: শরীরের যাবতীয় কর্মকাণ্ড ঠিকভাবে চলতে ও ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে স্বাস্থ্যকর তেল খাওয়া প্রয়োজন। সঠিক ধরনের চর্বি ও তেল খাওয়া হলে বিপাকক্রিয়া বৃদ্ধি করে, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং অতিরিক্ত ক্যালরি খরচ করতে সাহায্য করে।
জলপাইয়ের তেল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ, যা বিভিন্ন রোগ যেমন- ক্যানসার, অস্টিওপোরোসিসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং রক্তে সেরোটোনিন (এক ধরনের হরমোন যা সন্তুষ্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত) বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
**গ্রিন টি: আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীর থেকে চর্বি কমায়। এছাড়াও যকৃতের চর্বি কমিয়ে সক্রিয়তা বাড়াতে সাহায্য করে, ফলে বিপাক বৃদ্ধি পায়। ভালো ফলাফলের জন্য দৈনিক দুএক কাপ গ্রিন টি পান করুন।
**আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার: ডিম, পালংশাক, রসুন এবং তিলের বীজের পাশাপাশি সামুদ্রিক সবজি এবং মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে আয়োডিনের চাহিদা পূরণ হবে।
**সেলেনিয়াম: এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে। এর পরিমাণ বাড়াতে খাদ্য তালিকায় মাশরুম, মাংস, সুর্যমুখীর বীজ এবং সয়াবিন যোগ করুন।
**জিংক: থাইরেয়েড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। ডাল, আখরোট, শষ্য, কাঠবাদাম প্রতিদিনকার খাবারের যুক্ত করে জিংকের চাহিদা মেটানো সম্ভব।
**লৌহ: তাই ঝিনুক, ডাল, কুমড়ার বীজে রয়েছে প্রচুর ‘আয়রন’। যা থাইরয়েডের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।