স্টাফ রিপোর্টার—-রাবিয়া আক্তার মীম
২০-০৯-২০২০
সৌন্দর্য জগতে অ্যালোভেরার অবদান সেতো অনস্বীকার্য। ত্বক ফর্সা করতে বা সজীব করতে,চুল পড়া রোধ করতে বা চুলের বৃদ্ধি করতে আমরা বাজার চলতি যেসব কসমেটিক্স ব্যবহার করি,তার মধ্যে বেশি থাকে অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা আমরা কসমেটিক্সের মধ্যে নই,প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যবহার করবো।
ত্বক যদি খুব শুষ্ক হয়ে যায়,তাহলে অ্যালোভেরার ভিতরে যে জেল টা আছে সেটা কিছুটা বের করে পুরো মুখে নিয়ে মেখে কিছুক্ষণ রেখে মুখ ধুয়ে ফেললে ত্বক নরম ও সজীব হয়ে যায়।
বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের মুখের ত্বকে ভাঁজ পড়ে যায়। অ্যালোভেরাতে অ্যান্টি-অক্সিজেন থাকে।এছাড়াও অ্যালোভেরাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন “এ”,”বি”ও”সি” থাকে, যার জন্য অ্যালোভেরা জেল মুখে ব্যবহার করলে মুখের ভাঁজ কমে যায় এবং তা রোধ করে।
খুব রোদে ঘুরাফেরা করলে মুখে কালো দাগ হয়ে যায়, এটি রোধ করতে অ্যালোভেরা জেল এবং অর্ধেক লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললেই রোদের যে পুরা কালো দাগটা তা উঠে যাবে।
মৃত কোষকে দূর করার জন্য অ্যালোভেরার মাস্ক ব্যবহার করা যেতে পারে। অ্যালোভেরা জেল,অলিভ ওয়েল এবং ওডমিল্ক গুরা করে একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে মাখিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে মুখ অনেক বেশি সজীব হয়ে উঠবে এবং আর্দ্রতাও ফিরে পাবে।
অ্যালোভেরা জেল বরফ পাত্রে রেখে বরফ করে নিলে এবং পরে ব্রণের উপর লাগালে,ব্রণ দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও চুলের জন্য অ্যালোভেরা বেশ উপকারী।
চুল পড়া রোধ করতে আর চুলের বৃদ্ধি করতে অ্যালোভেরার ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাছাড়া ঠোঁট যদি শুষ্ক হয়ে যায় তাহলে যখন মুখে অ্যালোভেরা দেওয়া হবে তখন ঠোঁটে লাগালেও ঠোঁট আর্দ্রতা ফিরে পাবে এবং ঠোঁট উজ্জ্বল ও সজীব হয়ে উঠবে।
এছাড়াও অ্যালোভেরার খুব ভালো অ্যান্টিসেপ্টিক গুণ আছে। যেকোনো ক্ষতস্থান বা কাঁটাস্থানে যদি অ্যালোভেরা লাগানো হয়,তাহলে সেটা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হযে যায়। তাই বলা যায় যে,ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার গুরুত্ব অনস্বীকার্য।