সিনিয়র রিপোর্টারঃ সাদিয়া সুলতানা সকাল,ঢাকা
নারীর সম-অধিকার প্রতিষ্ঠায় ১৯১৪ সাল থেকে বিভিন্ন দেশ দিবসটি পালন করে আসছে। বাংলাদেশেও ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে স্বাধীনতার লাভের পূর্ব থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। অতঃপর ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দে ৮ মার্চকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই পালিত হচ্ছে দিনটি নারীর সমঅধিকার আদায়ের প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করার অভীপ্সা নিয়ে।
এই দিবসটি উদযাপনের পেছনে রয়েছে নারী শ্রমিকের অধিকার আদায়ের সংগ্রামের ইতিহাস।
এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের প্রতিপাদ্য- ‘করোনাকালে নারী নেতৃত্ব, গড়বে নতুন সমতার বিশ্ব’।
নারীশক্তি ছাড়া এ জগৎ সত্যিই অকল্পনীয়! নারী আমাদের প্রত্যেকের অন্যতম অনুপ্রেরণার উৎস। সে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে! নিজের হাজারো কাজের মাঝেই যত্ন নিয়ে পরিবারের খেয়াল রাখে সে। নারীর সেই ক্ষমতা এবং তাঁর অধিকার রক্ষার জন্য গোটা বিশ্বজুড়েই পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
নারী দিবস মানেই আলাদা একটা দিন, এ কথা অনেকেই মানতে চান না! কারণ, বছরের প্রতিটা দিনই নারী দিবস। তাঁরা আছেন বলেই সকলে আছেন! তাঁরা স্বয়ংসিদ্ধা। শুধু নিজের সংসারের নয়, বিশ্বসংসারের দায়িত্বও তাঁর কাঁধে। তাই পৃথিবীজুড়ে সব নারীদের কুর্নিশ জানাতে ৮ মার্চ পালিত হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় জীবনের সকল ক্ষেত্রে নারীর সম অধিকারের বিষয়টি সংবিধানে নিশ্চিত করেছেন।
“লিঙ্গ সমতা ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল। আমাদের জাতীয় উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আমরা গ্রহণ করেছি নানামুখী পরিকল্পনা ও পদক্ষেপ।”
জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ বাড়ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে জেন্ডার রেসপন্সিভ বাজেট প্রণয়নসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় তৃণমূল পর্যায়ের নারীদের আত্মকর্মসংস্থানমূলক কর্মে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। হ্রাস পাচ্ছে নারীর দারিদ্র্য।”
কাজী নজরুল ইসলাম বলে গেছেন “এ পৃথিবীর যা কিছু মহান চির কল্যাণকর অর্ধেক তার করিয়াছে নারী অর্ধেক তার নর”
আমরা সন্মান জানাই সেই সব নারীদের যারা রোজ জীবন সংগ্রামে হোচট খেলেও মুখ থুবড়ে না পরে, উঠে দাড়ায় আরো একবার বুক চিতিয়ে লড়াইয়ের আশায়।