বিডিনার্সিং২৪ রিপোর্টঃ দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত নির্বাচনহীনভাবে চলছে নার্সদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ)। এর মধ্যে আবার অবৈধভাবে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় কমিটিতে পদ সৃষ্টির অভিযোগও রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাদশার বিরুদ্ধে।
এদিকে অভিযোগ আছে জামাল উদ্দিন বাদশা তত্বাবধায়ক সরকারের আমল থেকে কেন্দ্রীয় পদ ব্যাবহার করে কৌশলে নার্সদের বিভিন্ন দাবিদাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন। একটি চক্র চাচ্ছে না বিএনএ কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্নগঠন। তাই নার্স সমাজে এনিয়ে চাপা ক্ষোভ বিরাজমান।
এভাবেই চলতে থাকা বিএনএ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাদশার বিরুদ্ধে এবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন কেন্দ্রীয় বিএনএ’র সভাপতি ইসমত আরা পারভিন। এ যেনো “কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা”। অভিযোগ রয়েছে বিএনএ ঢাকা মেডিকেলের এক নেতার পরামর্শে সংগঠন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন জামাল উদ্দিন বাদশা। ঢামেকহার ঐ নেতা সুকৌশলে জামাল উদ্দিন বাদশার দখল করে বিএনএ কেন্দ্রীয় কমিটিতে হস্তক্ষেপ করছেন দীর্ঘ দিন ধরে।
জামাল উদ্দিন বাদশার বিরুদ্ধে বিএনএ সভাপতি ইসমত আরা পারভিন অভিযোগ তুলেছেন নানা অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ে। তার অভিযোগ জামাল উদ্দিন বাদশা সদস্যদের নাম হালনাগাদ না করে সদস্যদের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমনকি নতুন সদস্য সংগ্রহের কোনো উদ্যোগও নেননি জামাল উদ্দিন বাদশা। গত কয়েকদিন আগে বিএনএ কতৃক গোলটেবিল বৈঠকের চিঠিতে সাধারণ সম্পাদকের পরিবর্তে অন্য এক সদস্যের স্বাক্ষর থাকায় ক্ষোভ জানিয়েছে নার্সরা। মূলত এই দুজনের মধ্যেই নেগোসিয়েশন করেই পথ চলছেন জামাল উদ্দিন বাদশা।
এসব নিয়ে ইসমত আরা পারভিন বিডি নার্সিং২৪ কে বলেন, আমি নার্সদের সকল উন্নয়ন, দাবী ও আন্দোলনের সাথে ছিলাম। নার্সদের জাতীয় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটি পূর্নগঠন করা এখন সময়ের দাবি। কিন্তু জামাল উদ্দিন বাদশার কর্মকান্ডে আমার উদ্যোগ বিফলে যাচ্ছে। তিনি বলেন খুব শীঘ্রই দেশব্যাপী শাখা বিএনএ কে নিয়ে সভার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এজন্য সকলের আন্তরিক সহায়তা চান ইসমত আরা পারভিন।
এছাড়াও জামাল উদ্দিন বাদশার এমন কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত বিএনএ সভাপতি ইসমত আরা পারভিন। গতকাল সোস্যাল মিডিয়ায় ইসমত আরা পারভিনের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয় সেখানে তিনি জামাল উদ্দিন বাদশাকে আরও সচেতন হয়ে কাজ করতে আহবান জানান। অথবা তিনি বিএনএ সভাপতি থেকে সরে দাঁড়ানোরও হুমকি দেন। নিচে তার ফেসবুক পোস্টটি
“জনাব জামাল উদদীন বাদশা সাহেব আার কত?????আপনার চামড়া গন্ডারের চামড়া লজ্জা শরমের বালাই নাই। আপনার কি কি অর্জন আছে একটু বলবেন কি ??? আমি এভাবে থাকতে চাইনা। আমাকে সাময়িক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল একটা পাতলা কাগজে একাউন্ট, কাগজপএ কিছুই দেওয়া হয়নি।
আমার আমলে ৫বছরের বকেয়া টাকা পরি সুদ করে ICN regular করা হয়েছেঃ। নন নার্স কর্ম কর্তাদের যাওয়া-আসা বন্ধ করা হয়েছেঃ আপনার সদস্য আপগ্রেড নাই বিধায় আমি ICN ও china চুক্তি করেও সাধারণ নার্স দের জন্য training er সুযোগ থাকলেও দিতে পারিনি। আপনি বি এন পির৩বছর তত্ত্বাবধায়কসরকারের ৩বছর এবং আওয়ামী লীগের ১৩বছর কাটালেন কিন্তু কেন শরমের কথা ভুলে গেছেন!!!!
আপনি দ্রুত website করে সদস্য সংগ্রহ করে নির্বাচনের আয়োজন করুন অন্যথায় আমি ইরা দীবরা মেডাম এর কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করিব। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, একজন শিক্ষকের সন্তান, আমি নিজেও একজন শিক্ষক। আমার অর্জন থাকলে জনগণ আমাকে ভোট দিয়ে নেতা বানাবে আর না থাকলে বানাবে না । আপনার মত মানুষের সাথে চলা যায়না।
কভিট১৯ সময়েও কোন নার্স এর খুঁজ খবর নেননি এবং কোন মিডিয়ায় নার্সদের পক্ষে কথা বলেননি। ফোন বন্ধ রাখেন একমাসেও আপনাকে পাওয়া যায় না। লজ্জা শরম থাকলে ভোটের অধিকার দিন জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে বানাবে”