👩🦰সিনিয়র রিপোর্টারঃমরিয়ম আক্তার,চাঁদপুর।
** প্রথমত জেনে নিই অস্টিওপোরোসিস সম্পর্কে।
অস্টিওপোরোসিস একটি হাড় ক্ষয় রোগ যেটি ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম এর অভাবে হয়ে থাকে।
অস্টিওপোরোসিস শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ছিদ্রযুক্ত হাড়, এটি এমন একটি রোগ যাতে হাড়ের ঘনত্ব এবং গুণগতমান হ্রাস পায়। হাড়গুলি ছিদ্র এবং ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায় হাড়ের ক্ষয় নিঃশব্দে এবং প্রগতিশীলভাবে ঘটে। একটা সময় হাড় দুর্বল হয়ে যায়। প্রথম ফ্র্যাকচার না হওয়া পর্যন্ত প্রায়শই কোনও লক্ষণ থাকে না। এটি প্রধানত বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা যায় যেসব মহিলার বয়স সাধারণত ৪০ বছরের উপরে। তবে পুরুষদের ও এই রোগ হয়ে থাকে।
**কারণসমুহ:
দেহে ক্যালসিয়ামের অভাব হলে
দেহে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে।
*মেয়েদের ক্ষেত্রে ইস্ট্রোজেন হরমোন এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে টেস্টোস্টেরন হরমোন এর পরিমাণ কমে যাওয়া
ব্যায়াম না করলে। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে হাড়ের ঘনত্ব ধীরে ধীরে কমতে থাকে। ফলে অস্টিওপোরোসিস এর ঝুকি বেড়ে যায়।
*ধূমপান করলে হাড় ক্ষয়ের ঝুকি বেড়ে যায়। ধূমপান পুরুষের দেহে টেস্টোস্টেরন এর পরিমাণ কমায় এবং হাড়-ক্ষয় ত্বরাণ্বিত করে।
*বয়স বেড়ে যাওয়া
অতিরিক্ত পরিমানে থাইরয়েড হরমোন অস্টিপোরোসিস এর ঝুঁকি বাড়ায়।
*অস্টিওপোরোসিস এর জন্য সাধারনত
কোমর ব্যথা, পিঠে ব্যাথা হয়ে থাকে বেশি।
**যেভাবে অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করবেনঃ
মূলত সঠিক খাদ্যাভাস ও নিয়মিত ব্যায়ামের মাধ্যমে অস্টিওপোরেসিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। যেসব খাবার খেলে অস্টিওপোরোসিস এর ঝুকি কমে-
*গাঢ় সবুজ শাকসবজি: গাঢ় সবুজ শাকসবজি যেমন বাধাকপি, ফুলকপি, শালগম ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন ‘কে’, যা অস্টিওপোরোসিস এর ঝুকি কমায়।
*দধি: এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি, যা হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
*লেবুজাতীয় ফল: লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা হাড়ের কোলাজেন ও তন্তুময় অংশ তৈরীতে বিশেষ ভূমিকা রাখে এবং অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করে।
*মাছ: মাছে রয়েছে ভিটামিন ডি থাকে যা হাড়ের গঠনের প্রয়োজন
*বাদামজাতীয় খাবার: এতে রয়েছে ভিটামিন ডি ও ক্যালসিয়াম যা অস্টিওপোরোসিস প্রতিরোধ করতে ভূমিকা পালন করে।
*দুধ: দুধ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি-এর সহজলভ্য উৎস ।
সতর্কতা: যাদের দুধে অ্যালার্জি আছে তারা দুধ পরিহার করুন। তবে দুধের তৈরি যে কোন খাবার যেমন দই, আইসক্রিম, পনির ইত্যাদি খাবেন।
আসুন সঠিক খাদ্যাভাস গড়ে তুলি, সুস্থ জীবনযাপন করি।