নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী লিজার আত্মহত্যা
নরসিংদীর রায়পুরায় প্রেমিককে দায়ী করে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী নুসরাত ইমরোজ লিজা(২০) আত্মহত্যা করেছেন।
২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকেলে রায়পুরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড এর মেরাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নুসরাত ইমরোজ লিজা রায়পুরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড মেরাতলী গ্রামের মো. আসাদুজ্জামানের বড় মেয়ে। চার ভাইবোনের মধ্যে লিজা সবার বড়। সে কুমিল্লা নার্সিং ইনস্টিটিউটের ১ম বর্ষেও ছাত্রী।
আত্মহত্যার আগে লিজা তার ফেইসবুকে সৈকত নামে একজনকে তার মৃত্যুর জন্য দায়ী উল্লেখ করে দুটি স্ট্যাটাস দেন। সৈকত ঢাকা মিরপুরে জাপান-বাংলাদেশ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ৩য় বর্ষের ছাত্র।
একটি পোস্টে লিজা লিখেছেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য সৈকত দায়ী। আই এম সরি আব্বা-আম্মা।’
আরেকটি পোস্টে তিনি লিখেন, ‘আমার লাইফটা নিয়ে খেলছে সৈকত। ওরে আমি মাফ করব না।’
নিহত লিজার বাবা আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সোমবার আমার বড় ভাইয়ের বাড়িতে পারিবারিক দাওয়াতে সবাই যাই। লিজা সবাইকে রেখে আগেই বাড়ি চলে আসে। আধা ঘণ্টা পর বাড়িতে এসে ঘরের দরজা-জানালা ভেতর থেকে বন্ধ দেখতে পাই। অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়াশব্দ না পেলে বাইর থেকে অনেক চেষ্টায় দরজা খুলে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাই।’
তিনি আরো বলেন, ‘ফেইসবুক স্ট্যাটাসে লিজা তার মৃত্যুর জন্য সৈকত নামে যে ছেলেটিকে দায়ী করেছে, এ ব্যাপারে আমরা আগে কিছুই জানতাম না।’
তবে লিজার মৃত্যুর পর তার ছোট বোন কান্নার সময় বারবার বলছে, তার বোন সৈকতের জন্য মারা গেছে।
লিজার ছোট ভাই আলামিন বলেন, ‘লিজা মিরপুরে থাকাকালীন জাপান-বাংলাদেশ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ছাত্র সৈকতের সঙ্গে তার বোনের পরিচয় হয়। লিজা কুমিল্লা ভর্তি হলেও সৈকতের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। ’
রায়পুরা থানার পরিদর্শক ওয়াহাব মিয়া বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে মরদেহের সুরতহাল শেষে, এটি আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত সবকিছু বলা যাবে।’
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সৌকতের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে থানায়, পুলিশ বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে। তবে নিহত লিজার পরিবার এখনো থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানায় পুলিশ।