ডেস্ক রিপোর্ট: ফের কারিগরি নার্সিংয়ের ভয়াল থাবায় কয়েকদিন যাবত নার্স সমাজে অস্থিরতা বিরাজ করছে। সর্বস্তরের নার্সদের মাঝে চাপা ক্ষেভের স্ফুলিঙ্গ বিরাজমান। যেকোনো সময় অস্তিত্ব রক্ষায় মাঠে ঝাপিয়ে পড়ার অপেক্ষায় দেশের প্রায় ৭২ হাজার রেজিষ্ট্রার্ড নার্স ও প্রায় ৫০ হাজার নার্সিং শিক্ষার্থীরা। সাধারণ নার্সরা চায় না কোনো ভবেই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ডিপ্লোমা পেসেন্ট কেয়ারদের রেজিস্ট্রার্ড নার্সের সনদ দেয়া হোক।
আর এজন্য নার্সদের সংগঠনগুলোর ভুমিকা এখন অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমেই কেবল নার্সিং পেশাকে রক্ষা করা সম্ভব। এমনটাই দাবি করে আসছিলো দেশের সাধারণ নার্সরা। কারণ গত কয়েকদিন যাবত স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের একটি সভায় কারিগরি পেসেন্ট কেয়ারদের নার্সিং লাইসেন্স দেয়ার ব্যাপারে চুড়ান্ত সিগ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতেই সোস্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করে সাধারণ নার্সরা।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজের নেতৃত্বে দেশের নার্সদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন, স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদ, বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটি, সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এন্ড রাইটস সহ বিবিজিএসএনএ, বিডিএসএনইউ, এসএনএসআর স্টুডেন্টস উইং ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ আজ ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের রেজিষ্ট্রারের কাছে সামগ্রিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করে। এতে বর্তমান সংকটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং কারিগরি নার্সিংয়ের সর্বশেষ বিষয়গুলো নিয়ে নেতাকর্মীরা তাদের মতামত তুলে ধরেন। এসময় নার্স নেতৃবৃন্দ পেশার স্বার্থে এক হয়ে কাজ করার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বানাপ মহাসচিব ইকবাল হোসেন সবুজ, যুগ্ম মহাসচিব মাজহারুল ইসলাম জুয়েল, বিবিজিএনএস সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ রাসেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা নার্সিং কলেজের ছাত্র লীগের আহবায়ক মোকলেসুর রহমান শাহীন, এসএনএসআর সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ তিহান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্বানাপ নেতা খদেমুল ইসলাম, সঞ্জিব মল্লিক, জালাল উদ্দীন রুমি, বিবিজিএনএস নেতা সফিউল আজম শাকিল, মামুন আকন, আমিনুল ইসলাম, ছাত্র লীগ নেতা হিমেল, তারেক ইকবাল, আরএস মনি ও অন্যন্য নেতৃবৃন্দ।
স্বাধীনতা নার্সেস পরিষদের মহাসচিব ইকবাল হেসেন সবুজ বিডিনার্সিং২৪ কে বলেন, নার্সদের অস্তিত্বের লড়াইয়ে আর কোনো ছাড় দেয়া হবে না। বর্তমান আওয়ামী সরকারের ডিজিটাল স্বাস্থ্য ব্যাবস্থ্যাকে আরও উন্নত করার লক্ষে তাই সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন পেশার স্বার্থে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হতে পারে। সকল নার্সদের সংঘবদ্ধ হবার অনুরোধ জানান তিনি।
বাংলাদেশ বেসিক গ্রাজুয়েট নার্সেস সোসাইটির সিনিয়র সহসভাপতি মোহাম্মদ রাসেল বলেন, পেশার স্বার্থ রক্ষায় আজ সবাই এক হয়েছি। তাই যেকোনো মূল্যে নার্সদের সন্মান রক্ষায় সবাইকে আগাম প্রস্তুতি নেয়ারও আহবান জানান তিনি।
সোসাইটি ফর নার্সেস সেফটি এন্ড রাইসের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির মাহমুদ তিহান বলেন, নার্সদের পিঠ আজ দেয়ালে ঠেকে গেছে। নার্সদের সহনশীলতার সুযোগ নিয়ে কোনো একটি অশুভ শক্তি নার্সদের বারবার মেরুদণ্ডহীন করতে চাইছে। দেশের স্বাস্থ্য খাতকে দূর্বল করার পায়তা করছে একটি পক্ষ। তাই নার্সদের এক হয়ে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লাড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে সকল নার্সদের আহবান জানান তিনি।