👤স্টাফ রিপোর্টারঃ লিজা খান,ঢাকা।
🕐০৬.০৯.২০২০
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হবে না বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৪ দশমিক ৭ শতাংশ বলে জানান প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তিনি বলেন, ‘সাক্ষরতার বৃদ্ধি করে এটিকে শতভাগে উন্নীত করার জন্য আমরা নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি।’
সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে সিনিয়র সচিব বলেন, ‘আমরা বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া রোধ করা এবং বয়স্কদের মধ্যে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি।’
এক প্রশ্নের জবাবে আকরাম আল হোসেন বলেন, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছে না। করোনায় শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার যে ক্ষতি হয়েছে, বিদ্যালয়গুলোকে সে বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেওয়া হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে ও ছুটির দিনে ক্লাস নিয়ে সেটা কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করবেন।
সিনিয়র সচিব বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে স্কুল খোলা না গেলে প্রাথমিকে বার্ষিক পরীক্ষাও নেওয়া হবে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা সম্ভব হবে তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তবে অক্টোবর ও নভেম্বরে স্কুল খোলা যেতে পারে সেই প্রস্তুতি নিয়ে দুটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস তৈরি করে চূড়ান্ত করা হয়েছে। যে মাসে স্কুল খোলা যাবে সেই সিলেবাস পড়িয়ে ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পরবর্তী ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উন্নীত করা হবে। স্কুল খোলা না গেলে পরীক্ষা ও মূল্যায়ন করা সম্ভব হবে না।
আকরাম আল হোসেন আরো বলেন, ‘করোনার মধ্যে অনেক কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। সেসব স্কুলের আশপাশে যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকবে সেসব স্কুলে ভর্তি করাতে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। যে যেখানে ভর্তি হতে চাইবে তাকে সেখানে ভর্তি করার কথা বলা হয়েছে।’