✍সিনিয়র রিপোর্টারঃ মরিয়ম আক্তার।
“একুশ মোদের অহংকার”
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি, বাংলাদেশে সহ পশ্চিমবঙ্গ তথা সমস্ত বাংলা বাষা ব্যবহারকারী জনগণের গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। এটি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসাবেও সুপরিচিত। বাঙালি জনগণের ভাষা আন্দোলনের মর্মন্তুদ ও গৌরবোজ্জ্বল স্মৃতিবিজড়িত একটি দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। ১৯৫২ সালের এই দিনে (৮ ফাল্গুন, ১৩৫৮) বাংলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলিবর্ষণে কয়েকজন তরুণ শহীদ হন। তাদের মধ্যে অন্যতম হল রফিক,জব্বার,শফিউল,সালাম,বরকত সহ অনেকেই। তাই এ দিনটি শহীদ দিবস হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।
২০১০ খ্রিষ্টাব্দে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিবছর একুশে ফেব্রুয়ারি বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়।
একদিকে বাংলা বর্ণমালা, অন্যদিকে আলপনা এমন অসংখ্য লেখা দেখা মিলছে কেদ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশের দেয়ালগুলোতে। কেউ ভাষা শহীদের ছবি আঁকছেন আবার কেউ বাংলা বর্ণমালা লিখছেন।
লিখছেন “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি” প্রভাতফেরির এমন বিখ্যাত গানও।
ভাষা আন্দোলনের গৌরবময় স্মৃতি, সেই সঙ্গে বেদনা আর বিদীর্ণ শোকের রক্তঝরা দিন অমর একুশে ফেব্রুয়ারিতে ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন।
এইদিকে মুখে মাস্ক ছাড়া একজন ব্যক্তিকেও শহীদ মিনারে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পুলিশকে জানিয়েছেন, ক্যাম্পাস ও শহীদ মিনার এলাকায় মাস্ক ছাড়া কেউ প্রবেশ করতে পারবে না।’
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত নিরাপত্তা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আক্তারুজ্জামান স্যার এসব তথ্য জানান।
উনারা আরো জানান যে ‘করোনার কারণে দলবলসহ শহীদ মিনারে আসতে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। সাংগঠনিক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৫ জন ও ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ দুইজনকে আসতে বলা হয়েছে। এর বেশি কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও শহীদ মিনার কেন্দ্রিক আলাদা আলাদা নিরাপত্তা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেহ তল্লাশি করে সকলকে প্রবেশ করানো হবে। এজন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
মোদের গরব, মোদের আশা।
আ-মরি বাংলা ভাষা।